ঘরোয়ায় লেগ রোস্টে ফাঙ্গাস, গাউছিয়ায় পচা শিক কাবাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ১৫ মে ২০১৯

ঘরোয়া রেস্তোরাঁ অ্যান্ড হোটেল লিমিটেড সবার কাছে একটি সুপরিচিত নাম। খিচুড়িসহ নানা মুখরোচক খাবারের জন্য ভোজনরসিকদের কাছে সুপরিচিত এ হোটেলটি। রমজানে গ্রাহকদের জন্য কেমন খাবার পরিবেশন করছে ঘরোয়া? স্বচক্ষে তাদের অবস্থা দেখতে হানা দিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ঢুকে দেখলেন টেবিলের উপর ইফতারের জন্য রেডি করা ফালুদা, জিলাপির পেস্ট, ফিরনি সম্পূর্ণ খোলা অবস্থায় রাখা। খুললেন ফ্রিজ। ভেতরে একটি ট্রেতে রাখা ছিল অনেকগুলো খাসির লেগ রোস্ট। কয়েকটিতে ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ধরেছিল। বেশ কয়েকদিন আগে থেকে ফ্রিজে রাখা ছিল এটি।

লেগ রোস্টের পর একের পর এক বেরিয়ে এলো ‘গুপ্তধন’। ফ্রিজে একটি বাটিতে রাখা ছিল রান্না মাংস, এরসঙ্গেই রাখা ছিল কাঁচা মাংস। ফ্রিজ থেকে ফিরনিসহ অনেক বাসি খাবার একের পর এক বের করছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট।

অবস্থা দেখে ম্যাজিস্ট্রেট ডাকলেন ম্যানেজারকে। ম্যানেজার মুরাদ হোসেন অবশ্য এগুলোর কৈফিয়ত দিলেন। বললেন, ‘আমরা প্রতিদিনের খাবার প্রতিদিনই বিক্রি করি। কিন্তু গতকাল এক গ্রাহক অনেককিছু অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু তিনি ডেলিভারি নেননি, তাই বাড়তি কিছু খাবার ফ্রিজে রয়ে গেছে।’

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সংরক্ষণ ও বাসি খাবার রাখার কারণে তাদের ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে ফকিরাপুলের দি গাউছিয়া হোটেলে গিয়ে ডিপ ফ্রিজ খুলে বাসি শিক কাবাব পেলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এগুলো পচে গিয়েছিল। তাদের জরিমানা করলেন ৩০ হাজার টাকা।

jagonews24

অভিযানে ফকিরাপুলের এশিয়া গার্ডেনে গিয়ে পচা বাসি খাবার, নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি করায় তাদের ৫০ হাজার এবং একই কারণে নিউ আল ইমাম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন বলেন, ‘আজকের অভিযানে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রাজধানীবাসীর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। রমজান এবং রমজানের পরও এ ভেজালবিরোধী অভিযান চলবে।’

এসআই/এআর/এএস/এনডিএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।