পাটকল শ্রমিকদের ৯ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ১৪ মে ২০১৯

পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ ৯ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র খুলনা অঞ্চলের ৯টি পাটকল শ্রমিকদের ১২ সপ্তাহের মজুরি ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৩-৪ মাসের বকেয়া বেতন বাবদ পাওনা ৭৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। কিন্তু ওই ৯টি পাটকলে ৩২৫ কোটি টাকার পাটপণ্য মজুত আছে। ৯টি পাটকলের প্রতিদিনের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭২ টন, কিন্তু সেখানে প্রতিদিন উৎপাদন করা হচ্ছে ১০০.২৯ টন। এখানে প্রতিদিন যে ১৭২ টন কম উৎপাদন হচ্ছে, রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে তার দায় দায়িত্ব কার?

তারা বলেন, মৌসুমে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা মণ দরের পাট সময় মতো না কিনতে পরে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের কাছ থেকে কেনার ফলে যে ক্ষতি হয়, তার দায়িত্ব কেন শ্রমিকরা নেবে?অর্থমন্ত্রণালয় কেন সময় মতো অর্থ ছাড় করে না? এসব শাসক-লুটেরাদের চক্রান্ত।

বক্তারা আরও বলেন, সারা বিশ্বে সবুজায়নের জন্য ও পরিবেশ রক্ষা জন্য আন্দোলন হচ্ছে। ফলে ব্যাপক বাজার সৃষ্টি হচ্ছে পাটপণ্যের। সারা বিশ্বে বর্তমানে মিলিয়ন পিস শপিং ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। এর মাত্র ৫ শতাংশ যদি আমরা রফতানি করতে পারি তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকার রফতানি আয় করা সম্ভব। কিন্তু সরকারের নীতি সেই মুখী নয়।

এই ভুলনীতি পরিহার ও দুর্নীতি বন্ধ করে পাটকল-পাট চাষীদের রক্ষা ও পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ ৯ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। একই সঙ্গে পাট শিল্পের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় পাটকল শ্রমিক, পাট চাষী ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাসদ ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ নগর শাখার সদস্য সচিব জুলফিকার আলী, সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন, আহসান হাবিব বুলবুল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সহ-সম্পাদক ইমাম হোসেন প্রমুখ।

এএস/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।