‘এডিস মশার প্রকোপ বেশি মন্ত্রীপাড়াসহ অভিজাত এলাকায়’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৮ পিএম, ১৪ মে ২০১৯

‘ মন্ত্রীপাড়া খ্যাত মিন্টু রোড ও বেইলী রোড, রাজধানীর অভিজাত এলাকা এবং ১৯টি স্পটে এডিস মশার প্রকোপ বেশি। এসব এলাকায় চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবও বেশি।’

২০১৮ সালের এক জরিপ প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রাশিদুজ্জামান খান।

তিনি জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৪ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা বা ডিম পাওয়া গেছে। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৫ শতাংশ বাড়িতেই এই লার্ভার উপস্থিতি রয়েছে। সাধারণত ২০ শতাংশের উপরে গেলে সেটাকে ঝুঁকিপূর্ণ বা এলার্মিং হিসেবে ধরা হয়।

adis-3

মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনিসিসি) ২ নম্বর ওয়ার্ড মিরপুরের পল্লবীতে সিটি কর্পোরেশনের কমিউনিটি সেন্টারে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াবিষয়ক অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন। সভার আয়োজন করে ডিএনসিসি ও স্বাস্থ্য অধিদফতর।

ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম সফিউল আজমের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন। উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, ডিএনসিসির কমিউনিটি মবিলাইজার ডা. মাহমুদা আলী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. রাশিদুজ্জামান খান বলেন, অধিদফতরের ২০১৮ সালের জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীর ১৯টি পয়েন্টে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বেশি। এগুলো হলো- বনানী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, গাবতলী, মগবাজার, মালিবাগ চৌধুরী পাড়া, মিরপুর-১, মহাখালী ডিওএইচএস, নাখালপাড়া, পূর্বশেওড়াপাড়া, টোলারবাগ, উত্তরা-৯ নং সেক্টর, বাংলাবাজার, ধানমন্ডি, এলিফ্যান্ট রোড, গুলবাগ, কলাবাগান, মেরাদিয়া, মিন্টু রোড, বেইলি রোড, শান্তিনগর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর প্রকোপ মন্ত্রীপাড়া খ্যাত মিন্টু রোড ও বেইলী রোডে। এখানে ৪০ শতাংশ ডেঙ্গুর বংশ বিস্তারের সম্ভাবনা দেখা গেছে।

adis-3

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে যেন ডেঙ্গু মশা জন্মাতে না পারে। সেজন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিএনসিসির খালগুলো পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করছি। খালে গাপ্পি মাছের পোনা ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গুবাহী মশার বংশ বিস্তার ধ্বংস করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা মশক নিধনকর্মীদেরও মনিটরিং করছি। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার শাস্তির ব্যবস্থা করছি। অনেকের বেতন কর্তন করা হয়েছে। যারাই অনুপস্থিত থাকবে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ যাতে না বাড়ে।

এএস/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।