হাটে চাঁদাবাজি হচ্ছে- মেয়রের বক্তব্য সঠিক নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ১২ মে ২০১৯

রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে চাঁদাবাজির জন্য গরুর মাংসের মূল্য বেড়েছে- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের এমন বক্তব্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছে গাবতলী হাট কর্তৃপক্ষ এবং পশু ও মাংস ব্যবসায়ীরা।

রোববার (১২ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।

হাট কর্তৃপক্ষ এবং পশু ও মাংস ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ। তাই অবৈধভাবে নিয়ে আসা গরুর খরচ বেশি পড়ার কারণে মাংসের দাম বাড়ছে। ভারতীয় সীমান্ত উন্মুক্ত না হলে মাংসের দাম কমানো সম্ভব নয় বলেও জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গাবতলী গবাদি পশু ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী মো. মজিবুর রহমান, গাবতলী পশুর হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. সানোয়ার হোসেন, ম্যানেজার আবুল হাসেম, পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী হাজী মো. রুবেল প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ জানান, গাবতলী হাটে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। আর হাটে চাঁদাবাজির কারণে মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মেয়র সাঈদ খোকনের এমন বক্তব্যও সঠিক নয়।

তারা অভিযোগ করে বলেন, তথাকথিত মাংস ব্যবসায়ী নেতা রবিউল যার কোনো মাংসের দোকান বা ব্যবসা নেই। তিনি হাড়ের ব্যবসা করেন। নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য রবিউল ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেয়র গাবতলী গরুর হাটে চাঁদা নেয়া হয় বলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। এতে করে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী গাবতলী গরুর হাটের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।

হাট কর্তৃপক্ষ জানায়, গাবতলী হাটে সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাসিল হিসেবে প্রতি ছাগলে ৩৫ টাকা, গরু ১০০ টাকা এবং মহিষের ক্ষেত্রে ১৫০ নেয়া হয়। আর যাদের লাইসেন্স নেই তাদের ক্ষেত্রে শতকরা সাড়ে তিন টাকা হারে হাসিল নেয়া হয়।

তারা প্রশ্ন করেন- গাবতলীতে চাঁদাবাজির কারণে যদি মাংসের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় মাংসের দাম ঢাকার চেয়েও বেশি কেন?

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গাবতলী পশুর হাটে যদি চাঁদাবাজি হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারেন। যদি কোনো ত্রুটি পায় সেক্ষেত্রে জেল-জরিমানা যা করেন আমরা মাথা পেতে নেব।

হাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে ভারত থেকে বৈধভাবে গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে গত কোরবানির ঈদের পর থেকে সীমান্ত দিয়ে গরুর আমদানি বন্ধ। তবে সীমান্তরক্ষীদের যোগসাজশে কিছু গরু অবৈধভাবে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই হিসেবে একজোড়া গরু সীমান্ত পার করতে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা গুনতে হয়। এরপর ঢাকায় আনতে ট্রাক ভাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির টাকা গুনতে হয়। এছাড়া প্রতি গরুতে কমপক্ষে চার হাজার টাকা খরচ রয়েছে। সেই হিসেব ধরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে মাংসের দাম বেড়েছে। ভারতীয় সীমান্ত উন্মুক্ত না হলে মাংসের দাম কমানো সম্ভব নয় বলে জানান পশু ব্যবসায়ীরা।

এসআই/এমবিআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।