মার্কেটে নেই ক্রেতা, জমজমাট ফুটপাত

ফজলুল হক শাওন
ফজলুল হক শাওন ফজলুল হক শাওন , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:২৯ পিএম, ১০ মে ২০১৯

রাজধানীর মার্কেটগুলোতে এখনও বেচাকেনা শুরু হয়নি। দোকানিরা বলছেন, ১৫ রোজার পর মূলত বেচাকেনা ধুম পড়বে। তবে মূল দোকানগুলোর চাইতে ফুটপাতে বেচাকেনা বেশি হচ্ছে।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি হকার্স, বদরুদ্দোজা, নূর জাহান সুপার মার্কেট, নেহার ভবন, গ্লোব শপিং সেন্টার, কনকর্ড, অরচার্ড পয়েন্ট, মেট্রো শপিংমল ও এলিফ্যান্ট রোর্ডের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা সাধারণের ভিড় খুব কম। দোকানিরা দোকান ভরা মালামাল তুলে বসে আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়।

Eid-Market

বেচাকেনা প্রসঙ্গে গ্লোব শপিং সেন্টারের নিচতলায় বিসমিল্লাহ ফেব্রিক্সের মালিক আবুল কালাম জাগো নিউজকে জানান, বেচাকেনা এখনও শুরু হয়নি। হালকা বেচাকেনা চলছে। এটাকে ঈদ বাজার বলা যাবে না। ঈদ মার্কেট বলতে যা বুঝায় সেটা শুরু হতে ১৫ রোজা পার হতে হবে। মূলত, ১৫ রোজার পর থেকেই ঈদের মূল বেচাকেনা শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ মালামাল তুলে নিয়ে আমরা বসে আছি। আশা করি, এবার ভালো বেচাকেনা হবে।

Eid-Market

বদরুদ্দোজা মার্কেটের কারুজ ফ্যাশনের ক্রেতা মিরপুরের আলী প্যান্ট ও শার্ট দেখছেন। তিনি বলেন, দাম খুব বেশি চাচ্ছে। এত দাম দিয়ে কেনা সম্ভব না। এ কথা বলে অন্য দোকানে চলে গেলেন তিনি।

ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় তুলনামূলক একটু বেশি। তবে দোকানিরা বলছেন, বেচাকেনা নেই। ঈদের কেনাকাটা এখনও শুরু হয়নি। ক্রেতারা শুধু শাড়ি দেখছেন দরদাম করছেন আর চলে যাচ্ছেন। ক্রেতারা অবশ্য বলছেন, শাড়ির দাম দ্বিগুণ।

Eid-Market

এছাড়া মূল দোকানের চেয়ে ফুটপাতে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। এখানে এক দামে কাপড় বিক্রি হচ্ছে। কোনোটা ১০০, কোনোটা ২০০ টাকা । ছোট বাচ্চাদের কাপড় প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জি, ফ্রগ, পায়জামা, কামিজ ও পাঞ্জাবিও পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতে। তাছাড়া ফুটপাতে সাংসারিক নানা প্রয়োজনীয় জিনিসও পাওয়া যাচ্ছে। নারী ক্রেতারা সেগুলো কেনাকাটায় ব্যস্ত। ফলে ফুটপাতের মার্কেটে বেশ বেচাকেনা হচ্ছে।

ঢাকা কলেজের সামনে ফুটপাত ব্যবসায়ী রফিক জানান, বেচাকেনা শুরু হচ্ছে। এখন থেকে দিন যতই যাবে বেচাকেনা বাড়বে। চাঁদ রাত পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।

এফএইচএস/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।