এক রাতে দুই খুন


প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

খুলনার ডুমুরিয়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে ব্যবসায়ী নান্টু শেখ (২০) এবং গণপিটুনিতে তরিকুল ইসলামকে (৩২) হত্যা করা হয়েছে। ঘের ব্যবসায়ী হত্যার দায়ে তার স্ত্রীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার ভোরে উপজেলার সরাপপুর এলাকায় ঘেরের বাসা থেকে নান্টু শেখের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে নগরীর দৌলতপুরে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মারা যায় তরিকুল ইসলাম।

জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের মৈখালী গ্রামের মৃত রূহুল আমিন শেখের ছেলে নান্টুকে বৃহস্পতিবার রাতে কোনো এক সময়ে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সেবন করিয়ে গলায় ফাঁস ও চোখে-মুখে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও তার প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. মশিউর রহমান জানান, ঘের ব্যবসায়ী নান্টু শেখের স্ত্রী অঞ্জনা বেগমের (১৯) সঙ্গে মৈখালী গ্রামের আব্দুল্লাহ শেখের ছেলে রেজোয়ান শেখের (২০) পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর এরই জের ধরে পরিকল্পিতভাবে নান্টু শেখকে ঘেরের বাসায় হত্যা করা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে কোমল পানীয়ের বোতল, গলায় ফাঁস লাগানো তোয়ালে ও হত্যাকারী রেজোয়ানের স্যান্ডেল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রেজোয়ান শেখকে আটক করা হয়েছে।

অপরদিকে, খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার বকুলতলা এলাকায় চুরির অভিযোগে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে তরিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।

এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, তরিকুল বকুলতলা এলাকায় তার প্রতিবেশি বুলবুলের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে বেঁধে রেখে এলাকাবাসীকে খবর দেয়। পরে এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আলমগীর হান্নান/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।