‘অর্থনীতিতে প্রভাবশালী ২০ দেশের তালিকায় আসছে বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ০৯ মে ২০১৯

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবশালী ২০ দেশের তালিকায় আসছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যেসব দেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে তার মধ্যে বাংলাদেশ থাকবে।

তিনি বলেন, ওই সময় বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এমন শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় ঢুকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতি সেখানে ১০০ ভাগের দশমিক ৯ ভাগ অবদান রাখবে। যেখানে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ কানাডার অবদানও একই। ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্লুমবার্গের এক বিশ্লেষণে বাংলাদেশের এ সম্ভাবনা উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দানদান চেনসহ বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি (৬ মে) আইএমএফ বৈশ্বিক অর্থনীতির যে প্রক্ষেপণ প্রকাশ করেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ব্লুমবার্গ এ বিশ্লেষণ করেছে।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে চীন। চীনের অবদান থাকবে সবচেয়ে বেশি যা ২৮ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, এরপরই রয়েছে ভারত। ওই সময়ে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভারতের অবদান দাঁড়াবে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতাধর এ দেশটির অবদান থাকবে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। এর পর ইন্দোনেশিয়া। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। তবে আমাদের অগ্রযাত্রার যে গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে আশা করা যায় এর আগেই আমরা সে আশা পূর্ণ করতে পারবো। আশা করা যায় অচিরেই বাংলাদেশ জি-২০ দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত হবে।

বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দানদান চেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহযোগিতা, আর্থিক খাত সংস্কারের পদক্ষেপ, নারীদের কর্মস্থান ও নারী ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন। পাশাপশি আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

এমইউএইচ/এএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।