দোকান ছেড়ে পালালো কবীর, মাংস গেলো এতিমখানায়
বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রির খবর পেয়ে অভিযানে যায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। তবে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান মাংস ব্যবসায়ী। কাউকে খুঁজে না পেয়ে দোকানে থাকা এক মণ মাংস জব্দ করে মাদরাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর মেরাদিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি মেরাদিয়া বাজারের কবিরের দোকানে বেশি দামে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোনে গেলে কবির দোকান থেকে পালিয়ে যান। আমরা কাউকে না পেয়ে দোকানে থাকা এক মণ মাংস জব্দ করি। পরে পাশের তিন মাদরাসা ও এতিমখানায় তা বিতরণ করা হয়।
এছাড়া বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় রাজধানীর সবুজবাগসহ বিভিন্ন এলাকার ১০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে এলাহী মাংস হাউসকে তিন হাজার, রূপসী বাংলা গোশত বিতানকে তিন হাজার, সন্দ্বীপ গোশতের দোকানকে তিন হাজার, মায়ের দোয়া গোশত বিতানকে তিন হাজার, বকুলের গোশত দোকানকে তিন হাজার, মোতালেবের গোশতের দোকান তিন হাজার, আলমের গোশতের দোকান পাঁচ হাজার, মাশাল্লাহ গোশত বিতানকে তিন হাজার, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে দেশি সুপার শপ অ্যান্ড ফার্মাকে ১৫ হাজার এবং জয়নাল স্টোরকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান ও ইন্দ্রানী রায়। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) -১ সদস্যরা।
এসআই/এএইচ/পিআর