চারপাশে ধুলা, খালি হাতে তৈরি হচ্ছে ‘নামিদামি’ সেমাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ০৯ মে ২০১৯

উপরে টিনের চাল। চালে ধুলা-ময়লার কুণ্ডলী। চারপাশে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। শ্রমিকের হাতে নেই গ্লাভস। খালি হাতেই তৈরি হচ্ছে সেমাই। এ সেমাই প্যাকেজিং হয়ে যাচ্ছে একমি, ডেকোসহ দেশের নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এসব বাজারে বিক্রি করছে তারা।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর আশরাফাবাদ এলাকায় বৃহস্পতিবার র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এমন চিত্র দেখা যায়। এ সময় এলাকার হাবিবা ফুড প্রোডাক্টস এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

rab--3

অভিযানে হাবিবা ফুডের কারখানায় গিয়ে চারদিকের ধুলাবালিতে সেমাই তৈরির চিত্র দেখতে পায় র‌্যাব। এ ছাড়াও যেকোনো কারখানায় কাজ করার ক্ষেত্রে গ্লাভস ব্যবহারের বিধান থাকলেও এখানে খালি হাতেই সেমাই তৈরির কাজ করছেন শ্রমিকরা। এমনকি সেমাই তৈরির কাজ করে তারা হাত ধুয়েছে কিনা-সে বিষয়টিও নিশ্চিত নয়।

প্রতিষ্ঠানটির লাচ্ছা সেমাই, দুধ সেমাইসহ বেশ কয়েক রকমের সেমাই তৈরি করে থাকে। শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একমি ডেকো, শাহী মদিনা, বোম্বের মতো ব্র্যান্ডের জন্য সেমাই তৈরি করেন। অভিযান শেষে তাদের ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানে গত বছর অভিযান চালানো হয়েছিল। তাদের অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো। তবে কিছু বিষয়ে এখনও ঠিক না করায় তাদের ১ লাখ টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে।’

rab--4

একই অভিযানে কামরাঙ্গীরচরের বড় গ্রাম এলাকার রহমান গলিতে সোনিয়া কনজ্যুমার গুডসের কারখানায় যায় র‌্যাব। সেখানে বিপুল পরিমাণে রোজ শরবত, চাটনি, বরইয়ের আচার, চকলেট ইত্যাদি পাওয়া যায়; যা নিম্নমানের কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি। র‌্যাবের অভিযানে সংবাদ শুনেই কারখানা থেকে পালিয়ে যায় মালিক। কাউকে না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।

এরপর ইসলামনগরের কাদের ফুড প্রোডাক্টসে চলে অভিযান। প্রতিষ্ঠাটি বিভিন্ন ফলের আইসক্রিম তৈরি করলেও এসব আইসক্রিমে ফলের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ প্রতিষ্ঠান ও মালিককে খুঁজে না পাওয়ায় এখান থেকে সাড়ে তিন হাজার কার্টন আইসক্রিম জব্দ করে র‌্যাব।

এআর/এনডিএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।