মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্সে দ্বিগুণ ভাড়ায়ও মিলছে না টিকিট

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ০৮ মে ২০১৯

ওমরাহ যাত্রী ও মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীদের লাগামহীন বিমান ভাড়া ও আসন সঙ্কট সমাধানে বিমানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তছলিম।

গতকাল মঙ্গলবার হাবের প্যাডে লিখিত এক চিঠিতে বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে এ বছর ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এয়ারলাইন্সগুলোতে ওমরাহযাত্রীর আসন সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ সুযোগে এয়ারলাইন্সগুলো ওমরাহ যাত্রীদের বিমানভাড়া অসহনীয় মাত্রায় বাড়িয়েছে।

হাব সভাপতি জানান, আগে যেখানে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা সরাসরি বিমান ভাড়া ছিল ৫০ হাজার টাকা বর্তমানে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা ওমরাহ যাত্রীদের বিমানভাড়া ৮০-৮৫ হাজার টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯০-৯৫ হাজার টাকাও নেয়া হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে বেশি ভাড়া দিয়েও ওমরাহ যাত্রীদের ফ্লাইটের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি জানান, পবিত্র রমজানে ওমরাহ করতে যাবেন এ রকম হাজারো ওমরাহ যাত্রীদের ভিসার মেয়াদ ফ্লাইটের আসন সঙ্কটের কারণে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীদের বিমান ভাড়া দ্বিগুনেরও বেশি বেড়েছে।

চিঠিতে তিনি লিখেন, সরকারের অভিবাসন ব্যয় কমানো নীতিমালা থাকলেও বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীদের বিমানভাড়া বাড়ার কারণে অভিবাসন ব্যয় অনেক বেড়েছে। অসহায় গরিব অভিবাসন প্রার্থীরা বর্ধিত টাকার ব্যয় বহন করতে না পারার কারণে অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বা ভিসা বাতিল হচ্ছে। তাছাড়াও ছুটিতে আসা অনেক অভিবাসীরা বিমানের আসন সঙ্কট ও ভাড়া বাড়ার কারণে গন্তব্যে ফিরতে পারছেন না।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা অভিবাসীদের বিমান ভাড়া ৬০-৬৫ হাজার টাকা যেখানে আগে ২২-২৪ হাজার টাকা ছিল। অতিরিক্ত বিমানভাড়ার টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আকারে নিয়ে যাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো।

উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তাবনা পেশ করেন তিনি।

প্রস্তাবনাসমূহ হলো সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যে সব রুটে যাত্রী সংখ্যা কম ও অলাভজনক সে সব রুটের ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা, ঢাকা-রিয়াদ-ঢাকাসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী অন্যান্য গন্তব্যে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো। এতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লাভবান হবে এবং ওমরাহযাত্রীসহ সব মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীরাও উপকৃত হবে।

এছাড়া বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে বাংলাদেশের ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ সহজ করে দেয়ার জন্য হ্যান্ডেলিং, ল্যান্ডিং ও পার্কিংসহ অন্যান্য চার্জসমূহ কমানো বা মওকুফ করা যেতে পারে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ওমরাহযাত্রী ও মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীদের ফ্লাইটে আসন সঙ্কট সমাধান ও ভাড়া নিয়ন্ত্রণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা, ঢাকা-রিয়াদ-ঢাকাসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী অন্যান্য রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো এবং বিদেশি এয়ারলাইন্সের জন্য হ্যান্ডেলিং, ল্যান্ডিং ও পার্কিংসহ অন্যান্য চার্জসমূহ কমিয়ে বর্তমানের উদ্ভূত জটিল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিমান মন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

এমইউ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।