টিকিট সঙ্কটে বাতিল হতে পারে ২০ হাজার ভিসা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:০৭ পিএম, ০৭ মে ২০১৯
ফাইল ছবি

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) নবনির্বাচিত সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেছেন, টিকিট সঙ্কটে ওমরাহ যাত্রীসহ অন্তত ২০ হাজার মানুষের ভিসা বাতিলের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করে, প্রয়োজনে ব্যাংককের মতো কম দূরত্বের ফ্লাইট কমিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ওপেন স্কাই চালু ও অন্যান্য এয়ারলাইন্সকেও বিভিন্ন চার্জ কমিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। টিকিট সঙ্কটে কৃত্রিমভাবে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কোটি কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে হাব কার্যালয়ে গণমাধ্যমের ধর্মবিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আরআরএফ এর সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ভূঁইয়া, সহ সভাপতি মিয়া হোসেন, সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল, কোষাধ্যক্ষ রকীবুল হক, দফতর সম্পাদক কাওসার আজম, প্রচার সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু ও নির্বাহী কমিটির সদস্য সামসুল ইসলাম নবনির্বাচিত সভাপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। অন্যান্যের মধ্যে হাবের নবনির্বাচিত সহ সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী ও এম ইব্রাহীম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, মধ্যপ্রাচ্যগ্রামী কিছু এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট কমিয়ে দেয়া ও কিছু এয়ারলাইন্স ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়ায় টিকিট সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এ সুযোগে টিকিটের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। এতে অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে ছুটি নিয়ে দেশে আসার পর এখন আর ফিরে যেতে পারছেন না। তাই তাদের ভিসা বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কারণ এতে দেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেকে ছুটি নিয়ে আসার পর এখন যেতে পারছেন না। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওমরাহ পালন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ সঙ্কট নিরসনে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে ওপেন স্কাই চালু ও চার্জ কমানোসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ বিমানের নতুন যে ক্যাপাসিটি তৈরি হয়েছে, তা মধ্যপ্রাচ্যে ফ্লাইট পরিচালনায় নিয়োজিত করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনে ৭৭৭ এয়ারক্রাফট ব্যাংককে পরিচালনা না করে জেদ্দা ও রিয়াদে পরিচালনা করতে হবে। যে কোনো উপায়ে এই সঙ্কট মোকাবিলায় সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

হাব সভাপতি জানান, চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনাকে আরো সুষ্ঠু ও সুন্দর করার জন্য হাবের পক্ষ থেকে সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করা যায়, এ বছর হজ ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে আরো ভালো হবে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এমইউ/এমএসএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।