খেজুর-ফলের দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ০৬ মে ২০১৯

মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান। পবিত্র এ মাসে সাধ্যের মধ্যে সেরা সেহরি ও ইফতার করতে চায় সবাই। ইফতারের মধ্যে খেজুর ও ফল অন্যতম। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা খেজুরসহ বিভিন্ন ফলের পসরা সাজিয়েছেন। দামও বেশ চড়া।

সোমবার রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, সেগুনবাগিচা, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নানা জাতের খেজুর নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হরেক রকম দেশি-বিদেশি ফলে ভরপুর বাজার।

বাজারে দেশি ফলের মধ্যে রয়েছে আনারস, কলা, বাঙ্গি, তরমুজ, পেয়ারা, শসা, পেঁপে, বেল, সবেদা, জামরুল ও লিচু। বিদেশি ফলের মধ্যে রয়েছে আপেল, কমলা, আঙুর, মালটা, নাশপাতি, আম। আরও রয়েছে বাহারি খেজুর।

পুরানা পল্টনে আজাদ প্রোডাক্টসের সামনে দেশি-বিদেশি ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফল বিক্রেতা বাবুল হোসেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে ফল বেচাকেনা বেড়েছে। তবে রমজান উপলক্ষে খেজুরের চাহিদা বেশি। এ কারণে দামও তুলনামূলক বেশি।

Khajur-1

অন্যদিকে রোজার আগেই শুধু খেজুর নয়, সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে বলে জানান ক্রেতারা।

মতিঝিলে ফল কিনছিলেন ব্যাংকার নিজাম উদ্দিন। বলেন, রমজানের আগে সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে। ৫০০-৬০০ টাকার নিচে কোনো ভালো খেজুর নেই। ডালিম এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৩০-২৪০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আপেল ছিল ১৫০ টাকা, আজ ১৭০ টাকা। এ রকম সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে। রমজান আসছে অনেকে ইফতারের জন্য খেজুর কিনবেন এ সুযোগে দাম বাড়িয়েছে। কোনো মনিটরিং নেই। যার যখন ইচ্ছা তখন দাম বাড়াচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। পকেট কাটছে ক্রেতাদের। কিছুই করার নেই।

রোজায় ইফতারের প্রধান খাদ্য খেজুর। দেশের বাজারে বাহারি জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে। যার হিংসভাগই আমদানি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে। আজুয়া, আনবারা, আমবার, মাবরুম, বরই, মরিয়ম, সুগায়ি, কাঁচা খেজুর, খুরমা ইত্যাদি।

বাজারে মানভেদে ২০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ খেজুরের কেজি ২০০-২৫০ টাকা। বরই খেজুর ৬০০-৮০০ টাকা। আমবার ১২০০-১৪০০ টাকা, মরিয়ম মানভেদে ৮০০-১০০০, খুরমা ২০০-২৫০, আলজারেয়ার খুরমা প্যাকেট ৫০০ গ্রাম ২৫০, প্যাকেট করা জাবেল ২৫০, প্যাকেট করা খালাস খেজুর ৩৫০ টাকা।

তিউনিসিয়ার খেজুর ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় মান ও জাতভেদে প্রতি কেজি আম ২০০-৫০০ টাকা। এছাড়া থাইল্যান্ডের আম ৪০০-৫০০ টাকা। প্রতি পিস আনারস আকারভেদে ১৫-৬০ টাকা। লিচু প্রতি শ’ ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০-১৩০ টাকা। সাদা আঙুর ২৬০ টাকা, কালো আঙুর ৪০০ টাকা, ফুজি আপেল ১৬০ টাকা। সাদা আপেল ১৭০-১৮০ টাকা। কালো আপেল ১৬০ টাকা। মাল্টার কেজি ১৩০-১৪০ টাকা।

Khajur-2

এছাড়াও প্রতি ডজন কলা প্রকারভেদে ৫০-১৮০ টাকা। এর মধ্যে প্রতি ডজন সাগর কলা ১০০-১৫০ টাকা, সবরি কলা ৭৫-৯০ টাকা, চিনিচাঁপা কলা ৬০-৮০ টাকা। বেল প্রতি পিস ৪০-৭০ টাকা। বাঙ্গি প্রতি পিস ৮০-২০০ টাকা, নাশপাতি ২৫০-২৮০ টাকা। তরমুজ ১৫০-৪০০ টাকা। রাম বুটাম ও ড্রাগন ফল প্রতি কেজি ৫০০ টাকা।

সেগুনবাগিচা মসজিদের সামনে সারিবদ্ধভাবে ফলের পসরা সাজিয়েছেন বেশকিছু দোকানি। বেসরকারি চাকরিজীবী জসিম উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, রমজান উপলক্ষে খেজুর কিনলাম। পাঁচ কেজির প্যাকেটের দাম নিলো ১৮০০ টাকা। এ খেজুর অন্য সময় ২৫০-২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হতো। এখন কেজি সাড়ে তিনশ টাকার ওপর।

মুগদার ফল ব্যবসায়ী কবির জানান, রোজার কারণে ঘাটে (পাইকারি বাজার) সব ধরনের ফলের কার্টুনে ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে। বেশি দামে মাল কিনেছেন তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এসআই/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।