টেলিযোগাযোগ খাতে সরকারের ১০ চ্যালেঞ্জ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১১ পিএম, ০৫ মে ২০১৯

দেশের টেলিকম অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এছাড়াও টেলিযোগাযোগ খাতে ১০টি চ্যালেঞ্জ ‘শনাক্ত’ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সিনিয়র সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জাগো নিউজকেও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৈঠকের কার্যপত্রে ১০টি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে।

ডাকা ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অন্য চ্যালেঞ্জগুলো হলো

১. বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে টেলিযোগাযোগ সেবা ও গ্রাহকসংখ্যা ব্যাপক বাড়লে মনিটরিং সিস্টেমের সাহায্যে তরঙ্গ পরিবীক্ষণ এবং তথ্য-উপাত্তসমূহ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য সফটওয়্যারগত সক্ষমতার দিকসমূহ খুবই সীমিত।

২. অবৈধ ভিওআইপি রোধ করার লক্ষ্যে সংগঠিত অভিযানে জব্দকৃত সিমের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর হতে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাইপূর্বক দেখা যায়, উক্ত সিমসমূহ ভুল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করা হয়।

৩. বর্তমানে সকল অপারেটরের নেটওয়ার্কের আনুমানিক ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ ফোর-জি সুবিধাসম্পন্ন হ্যান্ডসেট রয়েছে। যা বৃদ্ধি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

৪. বিভাগীয় শহর তথা বরিশাল রংপুর সিলেট ও ময়মনসিংহে প্রশাসনিক বিভাগ স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু পোস্টাল সার্কেল স্থাপন হয়নি।

৫. একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড বা বিটিসিএলের যেসব দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ বিটিসিএল হতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন ডিওটি, টেলিটক, টেশিস, বিএসসিসিএলে চলে যাওয়ায় দক্ষ কর্মকর্তার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিটিসিএলের বিভিন্ন কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

৬. সাবেক বিটিটিবির সময়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশনের অর্থ পরিশোধ কোম্পানি সৃষ্টির পর ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত সাবেক বিটিটিবির কর্মকর্তাদের পেনশন প্রদানের অর্থ ও এর দায়ভার বিটিসিএলকে বহন করতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই খাতে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

৭. আন্তঃসংস্থা সমন্বয়হীনতার কারণে বিটিসিএলের মূল্যবান ভূগর্ভস্থ টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

৮. বিটিসিএলের ৫২৩টি টাওয়ার থাকা সত্ত্বেও লাইসেন্স না থাকায় টাওয়ার শেয়ারিং সেবা প্রদান করতে পারছে না।

৯. দেশব্যাপী টেলিটকের সেবা (নেটওয়ার্ক) বিচ্ছিন্নকরণের জন্য বিটিসিএলের টাওয়ার সংখ্যা অপর্যাপ্ত।

কমিটির সদস্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেনজীর আহমদ, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, আহমেদ ফিরোজ কবির, মো. নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা, জাকিয়া পারভীন খানম এবং অপরাজিতা হক বৈঠকে অংশ নেন।

এছাড়া বিশেষ আমন্ত্রণে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৈঠকে যোগ দেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।