মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অব্যাহত

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ০৪ মে ২০১৯

রোহিঙ্গা সঙ্কট স্থায়ী নিরসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে শনিবার আয়োজিত এক পরামর্শক সভায় এ কথা জানান তিনি। আঞ্চলিক এ পরামর্শক সভার আয়োজন করে ‘গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর কোয়ালিশন (জিসিএম)’।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য থেকে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিককে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। বাংলাদেশের সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও এসব রোহিঙ্গার মানবিক কারণে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। তবে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।’

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার পরিপ্রেক্ষিত তুল ধরে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে অভিবাসন ঠেকানো কোনো সমাধান নয়। এটা একইভাবে কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখার সেফগার্ডও নয়। এসব ঘটনা আমাদের আবেগের চেয়ে যুক্তি দিয়ে বিচার করতে হবে।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা যখন মাইগ্রেশন কমপ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা করব, তখন একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, রাজনৈতিক পরিচয়, দ্রুতগতি সম্পন্ন তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করতে হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তে সহিংসতা, উগ্রবাদ, উগ্র জাতীয়তাবাদের কারণে সাধারণ লোকের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনাও আমরা অনুধাবন করে আসছি।’ এসব বিষয় মাইগ্রেশন কমপ্যাক্টের আওতায় আলোচনা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ, জাতিসংঘে স্পেনের স্থায়ী প্রতিনিধি অগাস্টিন সান্তোস ও গ্লোবাল কোয়ালিশন ফর মাইগ্রেশনের সমন্বয়ক কলিন রাজাহ।

প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অভিবাসন খরচ কমাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

জেপি/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।