ফণীর প্রভাবে যাত্রী ও গণপরিবহন কম রাজধানীর সড়কে
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৮ পিএম, ০৪ মে ২০১৯
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে রাজধানীর সড়কে যাত্রী ও যানবাহনের সংখা খুবই কম। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের পাশাপাশি শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীতেও শুরু হয় বৃষ্টি। সারাদিন থেমে থেমে চলে এ বৃষ্টিপাত। শনিবারও ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সকাল সাড়ে ৯টার পর ঢাকার কোথাও বৃষ্টি না হলেও আকাশ মেঘলা রয়েছে।
সরেজমিন রাজধানীর বংশাল, গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, শান্তিনগর, রামপুরা, বাড্ডা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ঘুরে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদেরই সড়কে দেখা গেছে। ফণীর পূর্বাভাস পেয়ে শনিবার অধিকাংশ স্কুল রয়েছে বন্ধ। সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে অনেক কম। যাদের অফিস খোলা তাদের অনেকে দুই-তিন গুণ ভাড়া দিয়ে রিকশায় চলাচল করছেন।
ঢাকার একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শারমিন আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘পল্টন থেকে প্রতিদিন কুড়িল বিশ্বরোডে গিয়ে অফিস করতে হয়। তবে আবহাওয়া খারাপের কারণে বাস অনেক কম। ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে উঠে গন্তব্যে পৌঁছালাম। বৃহস্পতিবার অনেকেই এসে ছুটি নিয়েছেন। আমরা যারা ছুটি নিতে পারিনি তাদের ঝক্কি নিয়ে অফিসে আসতে হচ্ছে।’
এদিকে বৃষ্টির কারণে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া দিয়ে বসুন্ধরাবাসীকে তাদের ভেতরে চলাচল করতে হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, দুপুরে ঢাকায় হালকা কিংবা ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। সর্বশেষ সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি (৪৪) এ বলা হয়েছে, ফণীর প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকার আবহাওয়ার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ জানান, গতকালের মতো আজও ঢাকায় বৃষ্টি থাকবে। দুপুরের পর এ বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এখন সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল পেরিয়ে ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। এর প্রভাবে ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে। মেঘে ঢেকে আছে আকাশ।
একই সঙ্গে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখে আবহাওয়া বিভাগ।
এআর/এনডিএস/জেআইএম