ইফতারে নিরাপদ খাবারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, ০৩ মে ২০১৯

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রমজানে বিপুল পরিমাণ ইফতারিসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য ক্রয় করেন। এই রমজানে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ঠেকানো ও বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।

‘খাদ্য উৎপাদন থেকে গ্রহণ পর্যন্ত ফলমূলসহ সকল খাদ্য বিষমুক্ত ও নিরাপদ চাই’ দাবিতে পবাসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনসমূহের যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তারা এ দাবি জানান।

পবার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ওয়াহেদ হাসান রাসেল ও নিরাপদ পানি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে ফুসফুস, হৃদরোগ কিংবা ক্যান্সারের মতো মারণব্যাধি। সেই সাথে পঙ্গুত্ব বরণ করছে পরিবারের হালধরা মানুষগুলো। স্বাভাবিক স্বাবলম্বী পরিবারকেও রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হচ্ছে, ধ্বংসের দাঁড়প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। এর কারণ খাদ্যে ভেজাল বিষক্রিয়া। এ চিত্রটি কিন্তু দেশের সবক্ষেত্রেই। দেশে রমজানে যে পরিমাণ খাদ্যে ভেজাল দেয়া হয় অন্য কোনো দেশে তা হয় না। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে দ্রব্যমূল কমানো হচ্ছে। রুচিসম্মত খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে সেখানে আমরা উল্টো হাঁটছি।

আইনের পাঠশালার সভাপতি সুব্রত দাস খোকন বলেন, সরকারের সদিচ্ছা আছে। কিন্তু আমাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন না হলে সরকারের সদিচ্ছা কখনো বাস্তবায়ন করা যাবে না। ভেজাল ঠেকাতে হলে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সকল পর্যায়ের মানুষকে সচেতনতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে।

পল্লীমা গ্রীনের সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সার কীটনাশক যথেষ্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার বেড়েছে বহুগুন। ফলমূল পাকানোর জন্য রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে। অথচ দেশের স্বল্প দূরত্বে অভ্যন্তরীণ বাজারে আরও প্রচুর চাহিদা থাকায় এখানে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় খাদ্য পাকানোর কোনো দরকার নেই। অপরিপক্ক ফল কিংবা খাদ্যে পুষ্টি যেমন কম থাকে তেমনি ভোক্তারা প্রতারিত হন। এসব মনিটরিং করার জন্য সরকারের রেগুলেটরি এজেন্সির মনিটরিং বাড়ানোর দাবিও জানান তিনি।

পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের আমির হাসান বলেন, পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সবজিতে কীটনাশক ব্যবহারের তীব্রতা বেশি। সবজি রফতানি কমে যাওয়ায় অন্যতম কারণ হচ্ছে কীটনাশক। সবজিতে বিষাক্ত রাসায়নিক অবশিষ্টাংশের প্রভাবে হয় ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ চামড়ার রোগ ও দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ।

মানববন্ধন থেকে মোট ১৫ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। পবা ছাড়াও মানববন্ধনে নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), সুবন্ধন সামাজিক কল্যাণ সংগঠন, বাংলাদেশ সাইক্লিং ও হাটা জোট, পল্লীমা গ্রীণ, আইনের পাঠশালা, পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি, বাংলাদেশ গ্রিন রুফ মুভমেন্টের নেতারা অংশ নেন।

জেইউ/এনএফ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।