ফণী : মহাবিপদ সংকেতের পরিস্থিতি হবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ০৩ মে ২০১৯
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দরে বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মোংলা, পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল থেকেই এ সংকেত বহাল রয়েছে।
ঝড়ের গতি ও বিপদের সম্ভাব্য মাত্রা বিবেচনায় ১ থেকে ১১ নম্বর সংকেত দিয়ে সতর্কতার মাত্রা বোঝানো হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বাংলাদেশে বিপদ সংকেত আর না বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমরা যে সংকেত দিয়েছি তা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত। এ সংকেতের অর্থ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতেই থাকব। মহাবিপদ সংকেতের প্রয়োজন নেই।
ওড়িশা উপকূল হয়ে ‘ফণী’ ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলেও জানান তিনি। অতিক্রম করার সময় এর বাতাসের গতি হতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।
‘ফণী’ ইতোমধ্যে ওড়িশা উপকূলে আঘাত করেছে। সেখানে এটা ১৮০ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে আঘাত করেছে। আমাদের এখানে যে গতিতে আঘাত করবে সেটাও আশঙ্কাজনক। এজন্য সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, পুরনো সাইক্লোনের সঙ্গে তুলনা না করে আমাদের বিপদ সংকেত অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা হয়েছিল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভূমিতে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু তার আগেই সকালেই ওড়িশায় আঘাত হানে ফণী।
ভারতে পূর্বাভাস সময়ের আগেই আঘাত করেছে, তবে আমাদের এখানে আসার সময় পিছিয়ে মধ্যরাত বলা হচ্ছে কেন- জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় চলার গতি তো সব সময় একরকম থাকে না। কম বেশি হতে পারে। ইতোমধ্যে ‘ফণী’র প্রভাব আমরা পাচ্ছি। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। এটা অগ্রভাগের প্রভাব। এটা আমাদের ভূখণ্ড অতিক্রম করতে করতে শনিবারও লেগে যাবে।
আরএমএম/এনএফ/এমকেএইচ