ঘণ্টায় ২৭ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছে ফণী
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ০২ মে ২০১৯
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী। ঘণ্টায় ২৭ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে ফণী। বর্তমানে ঝড়ের গতিবেগ ১৮০ কিলোমিটার।’
তিনি আরও বলেন, ফণী ওড়িশা উপকূলে আঘাত হেনেছে। এরপর যদি পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে, তাহলে দুর্বল হয়ে যাবে। তখন বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যাবে। তবে যদি উত্তরে সরে যায় তাহলে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে।’
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।
এনামুর রহমান বলেন, ‘ফণী যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে এটি চট্টগ্রামে আঘাত হানলেও কক্সবাজার আক্রান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুতি আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, উখিয়ায় যে সাইক্লোন শেল্টারগুলো আছে সেখানে তাদের পাঠানো হবে। যেহেতু বেশিরভাগ বসতি পাহাড়ের উপরে এবং উপকূল থেকে বেশ দূরে, তাই তাদের ঝুঁকিটা অনেক কম।
সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এটি মোকাবেলার জন্য মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও জেলা-উপজেলা কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছি। ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুমে থাকার জন্য সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৫৬ হাজার সিপিবি ভলান্টিয়ারকে মাঠে নামানো হয়েছে, তারা মাইকিং করছে। মহাবিপদ সংকেত দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার কাজ শুরু করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘চার হাজার ৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সোলার কানেকশন ও সুপেয় পানির জন্য ৩০টি ট্রাক সরবরাহ করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় দুইশ টন করে চাল ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং জেলা প্রশাসকের কাছে নগদ পাঁচ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন, ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্টের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো এতোটাই প্রটেক্টেড যে এখানে আসলে প্রাণহানি হয় না।’
‘আমাদের যে প্রস্তুতি রয়েছে তাতে প্রাণহাণির সুযোগ নেই। কিন্তু ঝড়ের গতিবেগ যদি ১৮০-২০০ কিলোমিটার হয় তাহলে ঘরবাড়ি অবশ্যই বিধ্বস্ত ও ফসলের ক্ষতি হবে। সেগুলো প্রতিরোধের সামর্থ্য কোনো দেশেরই নেই।’
বিপদ সংকেত না মহাবিপদ সংকেত থাকবে তা নির্ধারণে বিকেলে আরেকটি সভা হবে। মহাবিপদ সংকেত দেয়া হলে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেগুলো রিভিউ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। শুক্রবার (৩ মে) জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
এমইউএইচ/এসআর/এএইচ/ পিআর