‘ফণী’ মোকাবেলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:২৩ এএম, ০২ মে ২০১৯

সুপার সাইক্লোনে রূপ নেয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। প্রস্তুতির একেবারে গোড়াতেই ছুটি বাতিল করা হয়েছে ত্রাণ কাজে জড়িত সব সরকারি কর্মকর্তাদের। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সব সংস্থাকে প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় উপজেলাসহ সব উপজেলার ইউএনওকে আশ্রয় কেন্দ্র, শুকনো খাবার, স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ের সব অফিস খোলা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে সিপিপি, স্কাউট ভলান্টিয়ার, আনসার-ভিডিপি, রেড ক্রিসেন্টসহ সব ভলান্টিয়ার রেডি রয়েছে। প্রাথমিকভাবে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ২০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’

fony2

এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলায় জরুরি সভা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল হক জানান, বন্দর জেটিতে বর্তমানে ১৬টি এবং স্পেশাল জেটিতে ৫টি জাহাজে কার্গো বা কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হচ্ছে। এর মধ্যেই বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। খোলা হয়েছে দুইটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। জেটিতে পুরোদমে অপারেশন চালু রাখতে ১০০ অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োজিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বন্দর চ্যানেল থেকে সব নৌযান শাহ আমানত সেতুর পূর্বপাশে বা নিরাপদ পোতাশ্রয়ে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া ‘ফণী’ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কায় সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন শিপইয়ার্ডে ভাঙার জন্য বিচিং করা (কূলে টেনে আনা) জাহাজগুলো পাথর বা পানি ঢুকিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে নৌ বাণিজ্য দফতর।

fony2

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কি.মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, ‘ফণী’ আশঙ্কায় বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর হাতিয়া রুটে নৌচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় দুই হাজার ৭৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সচেতনতার জন্য মাইকিং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আবু আজাদ/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।