শেয়ারবাজার নিয়ে কাউকে গেম খেলতে দেয়া হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেয়ারবাজারে আমরা সবধরনের সুযোগ দিচ্ছি। এখানে আগে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। আমরা স্থিতিশীল করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ নিয়ে খুব বেশি শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যা যা নিয়ন্ত্রণ করার সে পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। তবে কেউ যদি গেম খেলতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি ও নেব, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।

তবে শেয়ারবাজার কিছুটা সমস্যা রয়েছে, কোন শেয়ার কতটা ঝুঁকি, কত মূল্য তা চিস্তা করে অর্থলগ্নি করতে হবে, কোন শেয়ার কিনছেন তাতে লাভ হবে কি না তা বিবেচনা করে তবেই লগ্নি করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বিএনপির যেসব এমপি শপথ নিয়ে সংসদে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যারা ধর্মের অপব্যবহার করে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে, নিরীহ মানুষকে হত্যা করে তারা কীভাবে বেহেস্তে যাচ্ছে। মানুষ হত্যা মহাপাপ। যারা সন্ত্রাসীদের জঙ্গিদের এ শিক্ষা দিচ্ছে তারা তো নিজেরা তো মরছে না। তারা আগে কেন বেহেস্তে যাচ্ছে না। নিরীহদের প্ররোচিত করে তারা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। ধনী ও ভালো ভালো শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের এ দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এসব ধর্মান্ধদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে যেকোনো মূল্যে আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসকে প্রতিহত করছি ও করব।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্থবহ করা ও স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। সে কারণে অনেক ব্যথা-বেদনা বুকে নিয়েই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল তারা এদেশের উন্নয়ন চায়নি। তারা চেয়েছিল, দেশ অনুন্নত থাকুক, অশিক্ষিত থাকুক, দরিদ্র থাকুক। তা দেখিয়ে দেখিয়ে তারা সাহায্য চেয়েছিল। আর তা লুটপাট করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নত করার চেষ্টা করেছি। বিএনপির আমলে কী ঘটেছে- জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মানুষ হত্যা, জেলজুলুম মামলা এবং অবাধে লুটপাট হয়েছে। অবাধে লুটপাট ও মানিলন্ডারিং থেকে শুরু করে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ান হয়।

তিনি বলেন, বন্ধ পাটকলগুলো আমরা চালু করে দিয়েছি। ইতোমধ্যে ৬০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি, তারপরও নাকি শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছে না। কেন এমন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। হতে পারে এসব পাটকলে শ্রমিকের সংখ্যাও বেশি আর উৎপাদনও কম। সে কারণে মিলগুলো লাভজনক হচ্ছে না এগুলোকে লাভজনক করতে হবে। বিমানের সমস্যা তো আমরা মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছি। যারা বিমানের জন্য এসব অপকর্ম করতো তা আমরা ঠিক করে ফেলেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যত বেকারের কথা বলা হয় তত বেকার কিন্তু নয়, এখানে প্রায় সকলেই কাজ করে খায়, সকলের কাজ করার সুযোগ আছে। আমরা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। আমাদের লগ্নিও আসছে, কাজও বাড়ছে। বেকার সমস্যা দূর করার চেষ্টা করছি।

জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে জার্সি করা হয়েছিল তাতে সবুজের মধ্যে লাল রং দিয়ে বাংলাদেশ লেখা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে আপত্তি করে লাল রং দিয়ে দেশের নাম না লিখে সাদা দিয়ে লিখতে হবে। সে কারণে জার্সির রং করা হয়েছে। কিন্তু অনেকে এটাকে পাকিস্তানের জার্সির সঙ্গে তুলনা করছে। তা নয়, আইসিসি ড্রেস কোর্ডের যে নির্দেশনা দেবে সেটা তো মানতে হবে। তাই লাল রংটা বাদ দিয়ে সাদা দিয়ে দেশের নাম লিখতে হয়েছে। এনিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১০০ সাল পর্যন্ত আমরা ডেলটা প্লান করেছি। আমরা বিশ্বে উন্নত দেশ হিসেবে নিজেদের উন্নীত করব। ইতোমধ্যে কেউ আর আমাদের দরিদ্র দেশ হিসেবে দেখে না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

এর মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ হলো আজ। পাঁচ কার্যদিবসের এ অধিবেশনটি শুরু হয় ২৪ এপ্রিল। অধিবেশনে তিনটি বিল পাস হয়।

এমইউএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।