মধ্যপ্রাচ্যে শিক্ষাবঞ্চিত এক কোটি ৩০ লাখ শিশু


প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চলমান সংকটের কারণে অন্তত এক কোটি ৩০ লাখের বেশি শিশু শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক অঙ্গ সংগঠন ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর আল জাজিরা ও বিবিসির।

এডুকেশন আন্ডার ফায়ার শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘাত ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর লড়াইয়ের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সংঘাত ও সহিংসতার কারণে এ অঞ্চলের ৮হাজার ৮৫০টি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে ১ কোটি ৩০ লাখ শিশু। এসব শিক্ষাবঞ্চিত শিশুরা স্কুলে ফিরতে না পারলে একটি প্রজন্মের প্রত্যাশা ধ্বংসের মুখোমখি হবে সতর্ক করেছে ইউনিসেফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতবছর সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া, ফিলিস্তিন, সুদান ও ইয়েমেনে ২১৪টি স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া শিক্ষাব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সিরিয়ায়। ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া গত সাড়ে চার বছরের গৃহযুদ্ধে দেশটির এক চতুর্থাংশ স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দেশটির ২০লাখের বেশি শিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে। একইসঙ্গে অন্তত ৫২ হাজার শিক্ষক এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলের আরমান শহরের একটি স্কুলে সরাসরি হামলায় চার শিক্ষার্থীসহ ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায়  গত মার্চ থেকে শত শত স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে পড়েছে।

ওইসব অঞ্চলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হত্যা, অপহরণ ও নির্বিচারে গ্রেফতার হচ্ছেন। সহিংসতাপ্রবণ এসব অঞ্চলের শিশু- কিশোররাও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন। এছাড়া অনেকেই জীবিকার সন্ধানে কাজে নেমে পড়েছেন।

গত বছর গাজা উপত্যকায় হামাস এবং ইসরাইলের যুদ্ধে ২২শ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া এ অঞ্চলটিতে অন্তত ২৮১টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে ইরাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের তাণ্ডবে অন্তত সাড়ে নয় লাখ স্কুলগামী শিশু মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

এসব অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। একইসঙ্গে  দাতাদের শিক্ষা ফান্ডে গুরুত্বারোপেরও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।