তিন দিন ধরে বিমানবন্দরে ঘুরছি, লাগেজ মেলেনি
তিন বছর পর গত ৩ এপ্রিল বাহারাইন থেকে দেশে আসেন খলিল সরদার। আসার সময় একটি বড় লাগেজে করে পরিবারের পরিজনের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই নিয়ে আসেন।
কিন্তু ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর দেখা যায়, তার লাগেজ আসেনি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও এমিরেসের কর্মকর্তারা তার লাগেজের সন্ধান দিতে পারেননি।
এমন নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে যাত্রীদের অভিযোগ শুনতে ও যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে গণশুনানি করেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
রোববার বিমানবন্দরে ওই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় যাত্রীরা তাদের লাগেজ হারানো, লাগেজ কেটে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরিসহ নানা হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ করেন। কেউ কেউ বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন।
খলিল সরদার জানতে চান, তার লাগেজটি কি আর পাওয়া যাবে? তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি বরিশাল। তিন দিন বিমানবন্দরে পড়ে আছি। আমার লাগেজ দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।’
গণশুনানিতে যাত্রীদের অভিযোগ শোনেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এম নাইম হাসান। অনেকের অভিযোগ শুনে সেগুলো স্বল্প সময়ে সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি।
শাওন নামে এক যাত্রী দিন, তারিখ উল্লেখ করে জানান, তার সঙ্গে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা খারাপ ব্যবহার করেছেন, তুই সম্বোধন করেন।
তার এমন অভিযোগের জবাবে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফ উজ জামান বলেন, এ বিষয়টি যেন আর না ঘটে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।
বেবিচক চেয়ারম্যান নাইম হাসান বলেন, বিমানবন্দরের সব কিছু যাত্রীদের জন্য। তাই তাদের অভিযোগ আমলে নেয়া হবে।
গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (প্রশাসন) মো. হাফিজুর রহমান, সদস্য (নিরাপত্তা) শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ই/এম সার্কেল) মো. আবদুল মালেক, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক, এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) পরিচালক ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।
আরএম/এমএমজেড