গভীর সমুদ্রে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

বঙ্গোপসাগরে জেলে এবং যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে গভীর সমুদ্রে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন করেছে গ্রামীণফোন।

গভীরসমুদ্রে এ নেটওয়ার্ক কাভারেজ শুধু যেকোনো জরুরি অবস্থায় যোগাযোগ সহজ করারই নয়, পাশাপাশি আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে দৈনন্দিন যোগাযোগেও দারুণ সহায়ক হবে।

কক্সবাজার, কুয়াকাটা, ভোলার চর, চর কুকরিমুকরি ও পটুয়াখালীর চর মন্তাজ কেন্দ্র করে স্থাপিত গ্রামীণফোনের এ নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির সুবিধা পাওয়া যাবে গভীর সমুদ্রে ৩৮ কিলোমিটার পরিধি অবধি। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ইতিমধ্যে সমুদ্রের ২০ কিলোমিটার দূরবর্তী অঞ্চলে ৫০০-রও বেশি নৌযান গ্রামীণফোনের মোবাইল সেবা গ্রহণ করেছে।

নেটওয়ার্ক কাভারেজের এ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ নিয়ে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব আয়ে উপকূলীয় অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণেও জলজীবী মানুষদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। তাই, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের বিশ্বাস গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

প্রতিবছরই উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ অসংখ্য প্রাণহানির কারণ হওয়া ছাড়াও বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি সাধন করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বছরে প্রায় চার হাজার পাঁচশ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও, জলদস্যুদের কারণেও মৎস্য সম্পদ আহরণ ও সামুদ্রিক পরিবহণ খাত বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

গ্রামীণফোনের এ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন কার্যক্রমের ফলে এখন থেকে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জেলেদের যোগাযোগ প্রক্রিয়া সহজ হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমান ব্যবস্থায় গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলে যোগাযোগ রক্ষায় নাবিক ও জেলেরা ‘হাই-ফ্রিকুয়েন্সি রেডিও’ ব্যবহার করে থাকেন।

আরএম/এএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।