অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ জরুরি
স্বাস্থ্যবান কর্মী অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে। আর ব্যবসার উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে কারিগরি উদ্ভাবন ও দক্ষ কর্মীর উপর। এজন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।
রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পেশাগত সেফটি ও স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্ব স্ব কারখানায় পেশাগত সেফটি ও উত্তম স্বাস্থ্য চর্চা করায় তৈরি পোশাক, পাট, চা, ঔষধ ও চামড়া শিল্পের ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান উপস্থিত ছিলন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেশাগত সেফটি ও স্বাস্থ্য আমাদের সবার সাধারণ ও সহযোগিতামূলক লক্ষ্য হওয়া উচিত। শ্রমিকদের দেখভাল না করলে তারা কীভাবে কাজ করবে? এজন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং শ্রম অধিদফতর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব উম্মুল হাসনা বলেন, ব্যবসার উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে কারিগরি উদ্ভাবন, দক্ষ কর্মীবাহিনী এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশের উপর। কর্মীবাহিনীর কল্যাণ সাধনে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে অনুপ্রাণিত করতে মন্ত্রণালয় ২০১৮ সাল থেকে পেশাগত সেফটি ও উত্তম স্বাস্থ্য চর্চা পুরস্কার দিয়ে আসছে।
আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পউটিয়াইনেন বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প ক্রমাগত জেনে এসেছে কীভাবে এই শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের শিল্প দুর্ঘটনা ও খারপ কর্মপরিবেশ থেকে রক্ষা করতে হয়। এসব শিক্ষা সব শিল্প সেক্টরে প্রয়োগের সময় এসেছে। আর কর্মক্ষেত্রে সেফটি ও স্বাস্থ্যের সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য যেকোনো নতুন উদ্যোগকে সমর্থন করতে আইএলও প্রস্তুত।
উন্নয়ন সহযোগীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের হাইকমিশনার হ্যারি ভারওয়েজ বলেন, পেশাগত সেফটি ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে আমাদের দেশের ব্রান্ড ও ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা যেন পণ্য ক্রয়ে আরও দায়িত্বশীল হন এবং বাংলাদেশের কলকারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবান কর্মী অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে। আর সেজন্যই শ্রমিকের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করা ব্যবসার জন্য সুফলদায়ক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক, বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনসুর আহমদ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের (ডাইফ) মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মন্টু প্রমুখ।
এসআই/এমএমজেড