হাই প্রোফাইল ছাড়া অপহরণের তথ্য ‘মূলত অস্তিত্বহীন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) মোট ১৭টি অভীষ্টের মধ্যে ৬টির ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এসডিজি বাস্তবায়নের নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ।

শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘ফোর ইয়ার্স অব এসডিজিস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এতে প্রকাশিত ছয়টির মধ্যে ১৬ নম্বর অভীষ্টটি হলো- টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থার প্রসার, সকলের জন্য ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করা এবং সকল স্তরে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান তৈরি।

প্রতিবেদনে সহিংসতার তথ্য প্রাপ্তির ঘটনাকে লাল রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে, অর্থাৎ তথ্য পাওয়া যায় না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (হাই প্রোফাইল) ছাড়া বাংলাদেশে আটক কিংবা অপহরণের ঘটনা ঘটলে, সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় না। আটক কিংবা অপহরণের ঘটনার তথ্যের স্বল্পতার পর্যায় বোঝাতে ‘মূলত অস্তিত্বহীন’ (virtually non-existent) শব্দটি ব্যবহার করেছে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।

শুধু তাই নয়, প্রতিবেদনে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলা হয়, নানা ধরনের উদ্যোগ সত্ত্বেও এসডিজির ১৬ নম্বর অভীষ্ট অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনায় এ বিষয়ে গুরুত্বের ঘাটতি রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রাথমিক তথ্য (বেসলাইন ডাটা) প্রাপ্তির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ বেশ কয়েকটি সূচকে রয়েছে সরকারি তথ্য (অফিসিয়াল ইনফরমেশন) ঘাটতি।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও এর কোর গ্রুপ মেম্বার রাশেদা কে চৌধুরী, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ড. ফাহমিদা খাতুন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ইউএন রেসিডিন্ট কো-অর্ডিনেটর ও রিপ্রেজেন্টেটিভ মিয়া সেপ্পো।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ফাহমিদা বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থের সঙ্কট। আরেকটা সঙ্কট হলো তথ্যের অভাব। তথ্য না থাকলে আমাদের অগ্রগতি কতটুকু হচ্ছে, সেটা বিবেচনা করতে পারব না। আমি বুঝতে পারব না আমি কোথায় আছি, আমাকে কতদূর যেতে হবে। তথ্যের ঘাটতিটা পূরণ করতেই হবে। সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে তথ্যের ঘাটতির বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, সামগ্রিক বিচারে আমরা বেশ কয়েকটা অভীষ্টে ভালো করছি। কিন্তু এখানে ১৭টি অভীষ্ট রয়েছে। সেসব দিক দিয়ে আমরা যদি সাফল্য অর্জন করতে চাই, তাহলে আরও পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে।

পিডি/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।