কমছে না বিয়ের বয়স
বিয়ের বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে অবশেষে সরে আসলো সরকার। বিতর্কের মুখে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ ও ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ রাখারই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত অপরাধের বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছেলেদের বিয়ের বয়স কমিয়ে ১৮ ও মেয়েদের ১৬ করা যায় কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার বিষয় আলোচিত হয় এবং ‘বাল্যবিবাহ রোধ আইন, ২০১৪’ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) মেয়েদের আইনসিদ্ধ বিয়ের ন্যূনতম বয়স না কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
আইনানুযায়ী বিয়ের বয়স বিবেচনা করা হবে জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট (থাকলে) বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সনদ দেখে। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না। বয়সের ক্ষেত্রে মিথ্যা সনদ প্রমাণিত হলে মিথ্যা সনদ প্রদানকারীরও দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড হবে। বাল্যবিবাহের আয়োজনে সহায়তাকারী বিবাহ রেজিস্ট্রারের নিবন্ধন বাতিল করা হবে এবং সেই ব্যক্তিকেও একই রকম সাজা ও জরিমানা করা হবে। বিয়ের তথ্য সংরক্ষণের জন্য আধুনিক তথ্যভান্ডার করা হবে। -প্রথমআলো