সীমান্তে নিরস্ত্র ব্যক্তিকে গুলি করা যাবে না
অস্ত্রহীন অবস্থায় কেউ সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করলে তাকে কোনোভাবেই গুলি করে মেরে ফেলা যায় না বলে জানিয়েছে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানীর মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিতে গিয়ে কমিশন এ কথা জানিয়েছে।
সাড়ে চার বছর আগে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কোচবিহারের চৌধুরীহাট সীমান্তে পার হলে বিএসএফের গুলিতে মারা যায় ফেলানী। দীর্ঘ আইনি লড়াই করেও কোনো আশাহত হন তার পরিবার। সম্প্রতি ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাঁচ লাখ রুপি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ২০১৪ সালের আগস্টেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছিল। কিন্তু সেই সুপারিশপত্র পেয়ে কমিশনের কাছে বিএসএফের একটি রিপোর্ট পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রিপোর্টে বলা হয়, ফেলানি আইন ভেঙে সীমান্ত পেরোতে দেখেই বিএসএফ গুলি চালায়। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণ দিলে অনুপ্রবেশে মদদ দেওয়া হচ্ছে বলে সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাবে।
তবে সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ক্ষতিপূরণ দিতে বলায় নতুনভাবে ভাবছে সবাই। ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে শুধু তাই নয়, ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া কীভাবে এগোচ্ছে, ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সেই কাগজপত্রও দেখাতে বলেছে কমিশন।
বিএসএফের সেই রিপোর্ট খারিজ করে কমিশন জানিয়েছে, কোনোভাবেই নিরস্ত্র ব্যক্তিকে গুলি করা যায় না।
আরএস/আরআইপি