ফতুল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা : দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় চলন্ত বাস থামিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সূত্র জানায়, নূরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মূল আসামি সুরুজ বেপারি ও কোরবান আলী আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফের আদালতে সুরুজ ব্যাপারি ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে কোরবান আলীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আদালতে স্বীকারোক্তিতে গ্রেফতাররা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে গুলি করেন কোরবান আলী ও টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেন সুরুজ ব্যাপারি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ আহমেদ জাগো নিউজকে জানান, গত ৩ আগস্ট রাতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকাতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জগামী উৎসব পরিবহনের চলন্ত বাস থামিয়ে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে (৪০) গুলি করে হত্যার পর তার হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেন দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। ৮ আগস্ট এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় নয়জনকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচটি ম্যাগজিন ও ১০ রাউন্ড গুলি।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত নাদিম, আল আমিন ও আলতাব হোসেন ওরফে লুঙ্গি বাবুর দেয়া স্বীকারোক্তিতে ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার ঢাকার মতিঝিল থানার ফকিরাপুল এলাকা থেকে ঘটনার মূল হোতা সুরুজ বেপারি ও তার স্ত্রী মাকসুদা আক্তার এবং কোরবান আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সুরুজ বেপারি (৩৮) ফতুল্লার শান্তিধারা এলাকার আবদুর রব বেপারির ছেলে ও ঢাকার রায়েরবাগ কদমতলী এলাকার মৃত আদিলউদ্দিন সোহেলের ছেলে কোরবান আলী (৩৯)। ৩০ আগস্ট সকালে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় মিলন মুন্সিকে।
মো. শাহাদাৎ হোসেন/এমজেড/বিএ