কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় সোয়া লাখ মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জাগো নিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলায় ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া ব্রহ্মপুত্রে ১২ সেন্টিমিটার, দুধকুমোরে ১৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। চর, দ্বীপচর ও নদ-নদী তীরবর্তি এলাকার ২ শতাধিক গ্রামের সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
প্লাবিত হয়েছে আরো নতুন নতুন এলাকা। রাস্তা ও বাঁধের উপর আশ্রিত অনেকেই এখনো ঘরে ফিরতে পারেননি। তার উপর নতুন করে বন্যা দেখা দেয়ায় তাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জাগো নিউজকে জানান, এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য ১৪৯ মেট্রিকটন চাল ও আড়াই লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
উজানের পানির তীব্র স্রোতের কারণে জিঞ্জিরাম নদীর উপর খাটিয়ামারী স্লুইচ গেটটি ভাঙনের মুখ পড়েছে। ধরনী নদীর পানির তীব্র স্রোতে তিনদিনে ২৫টি ঘর নদীতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে প্রায় ৫৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত রয়েছে। যার বেশিরভাগই নষ্ট হবার পথে আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।
নাজমুল হোসেন/এমজেড/পিআর