খোকনের সান্ত্বনার সংবাদ সম্মেলন
গত ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত বার কাউন্সিলের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বিএনপিপন্থি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সান্ত্বনার সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী সমিতির সদস্যরা। বুধবার সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ল রিপোর্টার্স ফোরামের কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ মন্তব্য করেন।
এসময় তারা বলেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার অপ-প্রয়াস করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন, সুপ্রীমকোর্ট বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল খায়ের, সহ-সম্পাদক দিলোয়ার মোস্তফা চৌধুরী মধু, সদস্য ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন শামীম, এ কে এম দাউদুর রহমান মিনা ও অমিত দাশ গুপ্ত।
এর আগে ৩১ আগস্ট সুপ্রীমকোর্ট বারের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ এনে নতুন নির্বাচনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন সুপ্রীমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
যেখানে বার কাউন্সিল নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের (নীল প্যানেল) পরাজিত কয়েকজন আইনজীবী ছিলেন।
সুপ্রীমকোর্ট বারে নেতারা বলেন, মাহবুব উদ্দিন খোকন সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে আমাদেরকে অবহিত করেনি। ওই সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিও উপস্থিত ছিলেন না। বার কাউন্সিলের নির্বাচনের ৫দিন পরে এসে সুপ্রীমকোর্ট বারের সম্পাদকের পদমর্যাদা ব্যবহার করে মাহবুব উদ্দিন খোকন পরাজিত প্রার্থীদের নিয়ে কথিত সংবাদ সম্মেলনে অসত্য তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাছিল করতে চেয়েছেন। আইনজীবী এবং দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকনের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, বার কাউন্সিলের ভোটার তালিকায় ভুল ছিলো। কারণ, সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মোট ভোটার হচ্ছেন ৫ হাজার ২১৮ জন। এর মধ্যে ২১৪ জন অন্য বারে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। বাকি থাকলো ৫ হাজার ৪ জন। কিন্তু ভোটার তালিকায় সুপ্রীমকোর্ট বারের ভোটার দেখানো হয়েছে ৩ হাজার ৪০৭ জন।
এফএইচ/এসকেডি/এএইচ/আরআইপি