বিয়ে-বিচ্ছেদে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না
বিয়ের সময় মুসলিম নারীদের কাবিনামায় অনুমতি সাপেক্ষে বিচ্ছেদের অধিকার দেয়া হলেও বর্তমানে সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিদের এ কথা জানান তিনি।
নারী অধিকার বাস্তবায়নে আন্দোলনকারী সংগঠনগুলোর ফোরাম ‘সিটিজেন ইনিশিয়েটিভস অন সিডও, বাংলাদেশ’ এ আয়োজন করে। সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভস অন সিডও বাংলাদেশ নারী অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলনে কাজ করছে।
মালেকা বানু বলেন, বাংলাদেশ সিডও সনদে স্বাক্ষকারী দেশ হলেও ধারা ২ ও ১৬ এর ১(গ) সংরক্ষণ করেছে। ফলে বিয়ে-বিচ্ছেদে নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, ধারা দু’টি সংরক্ষণ করার মানেই হচ্ছে, যারা সংবিধানের মূলনীতি ও নারী উন্নয়নকে বিশ্বাস করে না, তাদের এজেণ্ডার বাস্তবায়ন। তাই সরকারের উচিত টেকসই উন্নয়নের জন্য সিডও সনদের পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা।
লিখিত বক্তব্যে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার বলেন, সিডও সনদের ধারা দু’টি সংরক্ষণ বাতিল করা হলে তা হবে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য দূর করা এবং বিয়ে বিচ্ছেদে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রাথমিক পদক্ষেপ। এছাড়া এ সনদটি পুরোপুরি গ্রহণ না করার কারণে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক আইন ও সংবিধানে স্বীকৃত অধিকার পুরোপুরি ভোগ করতে পারছেন না।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভার্সিটি, মাইগ্রেশন পরিচালক চিত্তরঞ্জন, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের পরিচালক আজগর আলী সাবরী, ইউএনডিপি’র জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ফৌজিয়া খন্দকার ইভা প্রমুখ।
আএসএস/এসকেডি/আরআইপি