জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ শুরু মঙ্গলবার
জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। গত বছরের মতো পুষ্টি সপ্তাহে এবারও প্রতিপাদ্য- খাদ্যের কথা ভাবলে, পুষ্টির কথাও ভাবুন। ২৯ এপ্রিল শেষ হবে পুষ্টি সপ্তাহ।
পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘সপ্তাহের প্রথম দিন রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে র্যালি ও হোটেলে আলোচনা সভা হবে। একইসঙ্গে হোটেলে পুষ্টি মেলারও আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় পুষ্টি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের স্টল থাকবে।’
সপ্তাহ উপলক্ষে সেমিনার, মাতৃপুষ্টির বিষয়ে সব ধরনের গণমাধ্যমে সেলিব্রেটিদের বক্তব্য প্রচারসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই পুষ্টি সপ্তাহেরও উদ্বোধন করেন।’
১০০ দিনের কর্মসূচির মধ্যে পুষ্টি সপ্তাহের বিষয়টি ছিল জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১০০ দিনের কর্মসূচির প্রায় সব বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্যতা আমরা কমিয়ে আনতে চাই। দারিদ্র্যতা কমলে পুষ্টিহীনতা কমবে। নারীর ক্ষমতায়ন করলে শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভুগবে না। পুষ্টিহীনতায় ভুগলে শিশুর নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ হয়ে থাকে।’
‘পুষ্টি সপ্তাহে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি শাক-সবজি, ফলমূলসহ সুষম খাবার খেতে হবে। তেল, চিনি, লবণ কম খান। এ ম্যাসেজ আমরা মানুষকে দিতে চাই।’
আগামীতে স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের দিকে জোর দেয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কী করণীয় আছে, পুষ্টি সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব। ছোট বয়সে স্কুলের ছেলে-মেয়েদের আমরা পুষ্টি বিষয়ে শেখাব, এতে তারা ভালো থাকবে। আমরা জানাব কী খেলে এবং কী পরিত্যাগ করলে তারা ভালো থাকবে।’
খাদ্যে ভেজাল রোধে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপকে যথার্থ মনে করছেন কিনা- জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, ‘তারা তো যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমি মনে করি আরও করা প্রয়োজন আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জি এম সালেহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/জেএইচ/পিআর