জাতীয় পরিচয়পত্র তোলার ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৯

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে তা পুনরায় তোলার জন্য যে ফি নেয়া হয় তা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন ( ইসি)। শুধু হারানো বা নষ্ট হয়ে যাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র নয়, নবায়ন করতে হলেও টাকা গুনতে হবে দেশবাসীকে।

জানা গেছে, এখন হারানো বা নষ্ট হলে এনআইডি পেতে খরচ হয় ২৬৬ (ব্যাংকিং চাজ ও ভ্যাটসহ) টাকা। আর জরুরি ভিত্তিতে তা পেতে গেলে ফি দিতে হয় ৩৬৫ (ব্যাংকিং চাজ ও ভ্যাটসহ) টাকা। এই ফি বাড়িয়ে পাঁচশ টাকা থেকে এক হাজার টাকা করার পরিকল্পনা করছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। তবে এর বিনিমিয়ে কাগজের এনআইডির পরিবর্তে উন্নত মানের ‘স্মার্টকার্ড’ দেয়া হবে।

বর্তমানে যে লেমিনেটিং করা ম্যানুয়াল কার্ড দেয়া হয়েছে এর মেয়াদ ১৫ বছর। আর স্মার্টকার্ডের মেয়াদ ১০ বছর। ফলে আগামী ১০ বছর পর এই কার্ড নবায়ন করতে হবে সবাইকে। তখন সবাইকে নবায়ন ফি গুনতে হবে।

সূত্র জানায়, এ ধরনের বিধান রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) একটা প্রস্তাব তৈরি করেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ সংক্রান্ত কমিটির এক সভার কার্যবিবরণীতে স্মার্টকার্ড বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ওই সভায় বিদ্যমান লেমিনেটেড কার্ডটি হারালে, নষ্ট হলে কিংবা সংশোধন করতে চাইলে কী পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে সেটিকে সামনে আনা হয়। সেখানেই ফি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। ইসির সবুজ সংকেত পেলে প্রস্তাবটি কমিশন সভায় উত্থাপন করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

ইসির নিবন্ধন অনুবিভাগের ডিজি ও স্মাটকার্ড প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামম বলেন, বিষয়টি এখনও প্রাথমিক স্তরে আছে। বলার মতো সময় আসেনি। তবে জনগণের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জানা গেছে, এর আগে ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির পর থেকে বিনামূল্যে এ সেবা দিয়ে আসছিল ইসির এনআইডি অনুবিভাগ। পরে ২০১৫ সালে এসে সাধারণ জাতীয় পরিচয়পত্রের উপরোক্ত ফি নির্ধারণ করে কমিশন। দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটারের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে ইসির তথ্যভান্ডারে।

এইচএস/এমবিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।