হাজি সেলিমকে দুদকের দায়মুক্তি


প্রকাশিত: ০৩:৫৭ এএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দীর্ঘ চার বছরের অনুসন্ধান শেষে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মো. সেলিমকে সরকারি সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সচিব মাকসুদুল হাসান খানের স্বাক্ষারকৃত এক চিঠিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন ও সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দুদকের করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা এখনো চলছে।

সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর গ্রিন রোডে ওয়ারিশসূত্রে একটি ভবনের মালিকানা পান সৈয়দ কাসেম আলীর মেয়ে সৈয়দা নাহিদা কাসেম আলী। স্বাধীনতার পর ভবনটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। কিন্তু ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১৯৮৬ সালে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। পরবর্তিতে ১৯৯২ সালে ভবণটির মালিকানা দাবি করে মামলা দায়ের করেন জনৈক মো. শফিকুল্লাহ।

দুদক সূত্রে আরো জানা যায়, জনৈক মো. শফিকুল্লাহর দাবি ছিল- নাহিদা কাসেম তার কাছে সম্পত্তি বিক্রির কথা বলে বেশ কিছু টাকা নিলেও জমিটি বুঝিয়ে দেননি। আদালতের আদেশে জমিটির মালিকানা পান শফিকুল্লাহ, যদিও নাহিদা কাসেমকে আদালত খুজে পাননি। পরবর্তীতে শফিকুল্লাহর পক্ষ থেকে আমমোক্তার নিযুক্ত হয়ে মো. ইব্রাহিম মিয়া নামের এক ব্যক্তি ১৯৯৮ সালে সম্পত্তিটি হাজি সেলিমের কাছে বিক্রি করেন। পরে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে হাজি সেলিমের প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপ।

হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর দীর্ঘ চার বছর দুদকের অনুসন্ধানের সময় জমিটির সংশ্লিষ্ট কাউকেই খুঁজে পায়নি সংস্থাটি।

আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।