ক্যাবল অপারেটরদের সময় বেঁধে দেয়া হবে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

লাইসেন্সের শর্ত মানার জন্য ক্যাবল অপারেটরদের সময় বেঁধে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বুধবার সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কেয়াব) ঐক্য পরিষদ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে আসছেন। তবে আমাদের একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, যে যে কাজের জন্য লাইসেন্স নিয়েছেন তাদেরকে লাইসেন্সের সেই শর্ত মানতে হবে। শর্তগুলো সবাই যদি সঠিকভাবে পালন করেন, তাহলে এ খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে না। লাইসেন্সের শর্ত সবার মানা প্রয়োজন।

মন্ত্রী বলেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য যারা লাইসেন্স নিয়েছেন তারা শুধু ক্যাবল নেটওয়ার্কই পরিচালনা করবেন, সেখানে অন্য কিছু করার সুযোগ নাই। সেখানে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ নেই, সিনেমা দেখানো বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান দেখানোর সুযোগ নাই।

তিনি বলেন, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন স্থানে ক্যাবল নেটওয়ার্কে স্থানীয় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, যেটি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী করা যায় না। তারপরে সেখানে অনেক সময় সিনেমা চালানো হয়, গানের অনুষ্ঠান চালানো হয়, যেটি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী করা যায় না।

সরকারের পক্ষে থেকে একটি আহ্বান জানানো হয়েছিল- বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোকে সামনে রাখতে হবে। প্রথমে সরকারি চ্যানেল। যেমন : বিটিভির চারটি চ্যানেল- বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ টিভি এবং বিটিভি চট্টগ্রাম- এগুলো প্রথমে এরপর বাংলাদেশের অন্য চ্যানেলগুলো প্রতিষ্ঠার সময় ধরে সিরিয়ালে রাখতে হবে। এ সিরিয়াল অনেক ক্ষেত্রেই মানা হয় না বলে জানান মন্ত্রী।

লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী যে কাজগুলো করা যায়, তার বাইরে যেন কেউ কোনো কার্যক্রম না করেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে সবাইকে এ ব্যাপারে দ্রুত জানানোর অনুরোধ জানান হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আপনাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোনো বিজ্ঞাপন না দেখানো, নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান না দেখানো, বাংলাদেশি চ্যানেলগুলোকে সিরিয়ালি রাখা- এ কাজগুলো করলে শৃঙ্খলা ফিরবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের যেসব সদস্য এখনও সঠিকভাবে নিয়ম পালন করছেন না, তাদের জানিয়ে দিন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সময়সীমা নির্ধারণ করে দেব। সেই সময়সীমার পরে যদি কেউ লাইসেন্সের শর্ত ভেঙে কাজগুলো করে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ডাউনলিঙ্ক করে যে দুটি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিয়েছিলাম, তারা প্রাথমিক জবাব দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ জবাব দিতে দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে। তাদের সময় দেয়া হয়েছে। তবে সেটি এখনও শেষ হয়নি। আমি অনুরোধ জানাব, বিদেশি চ্যানেলে কোনো বিজ্ঞাপন যাতে প্রদর্শিত না হয়। এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সভায় কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।