আলোকিত মানুষ তৈরি করে কাগতিয়া মাদরাসা

মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন
মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন , আমিরাত প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

হযরত গাউছুল আজম (রাঃ) প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ গাউছুল আজম সিটিস্থ কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে সবুজঘেরা বিশাল এলাকাজুড়ে স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী কাগতিয়া কামিল এম.এ. মাদরাসার চট্টগ্রাম মহানগর ক্যাম্পাসের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সজ্জিত মাদরাসা প্রাঙ্গণ শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে শতশত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, ‘দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি একবিংশ শতাব্দির মাহেন্দ্রক্ষণে যে চ্যালেঞ্জ সবাইকে হাতছানি দেয় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আধুনিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে যুগোপযোগী করে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে কাগতিয়া মাদরাসায়। মাদরাসার অধ্যক্ষ অক্লান্ত শ্রম আর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ মাদরাসায় সর্বদা যুক্ত হচ্ছে নিত্য নতুন ব্যবস্থা। বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী, থাকা খাওয়ার ফ্রী ব্যবস্থা, নিজস্ব পরিবহন সুবিধা সবকিছু রয়েছে এ মাদরাসায়।’

অধ্যক্ষের পৃষ্ঠপোষকতায় কাগতিয়া মাদরাসার মহানগর ক্যাম্পাসে অল্প কিছুদিনের মধ্যে উঠেছে সুরম্য বহুতল একাডেমিক ভবন। এ ছাড়া নিরিবিলি পরিবেশে সুবিশাল ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের চিন্তা চেতনা বিকাশের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ সহিদুল করিম চৌধুরী বলেন, কাগতিয়া মাদরাসার অতীত ইতিহাস গৌরবের, বর্তমানও উজ্জ্বল, ভবিষ্যতেও এ মাদরাসা রইবে আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। এ মাদরাসার জন্য রয়েছে হযরত গাউছুল আজমের চোখের জল। তাই এ মাদরাসার সংশ্লিষ্ট সকলে ভাগ্যবান। দিনদিন কাগতিয়া মাদরাসার উন্নতি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয় এ মাদরাসার নেপথ্যের ইতিহাস।

কাগতিয়া মাদরাসার ইতিহাস নবীপ্রেমিক তৈরির ইতিহাস, মুহাক্কিক তৈরীর ইতিহাস। এ মাদরাসায় এত শান থাকার অন্যতম কারণ এ মাদরাসা সবসময় এমন মহান ব্যক্তিদের হাতে ন্যস্ত থাকে যারা আল্লাহ ও রাসুলের একান্ত প্রিয়জন। এ মাদরাসায় হযরত গাউছুল আজম নিজে পড়েছেন, পড়িয়েছেন এবং অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ মাদরাসা তাই মান মহিমার দিকে সর্বদা আলো ছড়ায়।

এ ছাড়াও বর্তমানে হযরত গাউছুল আজমের একমাত্র প্রতিনিধি এ মাদরাসার অধ্যক্ষের পদ অলংকৃত করেছেন। তাই এ মাদরাসার উন্নতি অগ্রগতি ইনশাআল্লাহ সদা বেগবান থাকবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাজির হাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহাম্মদ অলি আহাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ নেজামুল হক প্রমুখ।

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন আরবি প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক ও কে. এম. নোমান এবং অভিভাকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন অধ্যাপক মুহাম্মদ তছলিম উদ্দিন ও মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

পরে অতিথিরা চট্টগ্রাম মহানগর ক্যাম্পাসে জেডিসি এবং ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী হতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এবং বিগত বার্ষিক পরীক্ষায় বিভিন্ন শ্রেণিতে উত্তীর্ণ মাদরাসার কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেন।

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ মাদরাসা থেকে ২০১৮ সালের ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩ জন ট্যালেন্টপুলসহ মোট ৮ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়। এর মধ্যে উপজেলা ভিক্তিক একজন প্রথম স্থান অর্জন করে।

এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।