সিলগালা করে দেয়া হচ্ছে বিজিএমইএ ভবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

রাজউক পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান বলেছেন, বিকেল ৫টার পর বিজিএমইএ ভবন সিলগালা করে দেবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বিজিএমইএ ভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এদিকে সকাল থেকে আদালতের রায়ে অবৈধ বিবেচিত রাজধানীর হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন ভাঙার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে রাজউক। ভবনটিতে থাকা বিভিন্ন অফিসের মালামাল সরাতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।

খন্দকার অলিউর রহমান বলেন, আইনের ভিত্তিতে আমরা বিজিএমইএ ভবন অপসারণের কাজ শুরু করেছি। আমরা যে কাজগুলো শুরু করেছি এটাও ভবন ভাঙার অংশ। এ ছাড়া এখানে টেকনিক্যাল ও ম্যানেজমেন্টের বিষয় আছে। এগুলো শেষ হলেই আমরা ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবো। এই বড় ভবনের নানা বিষয় দেখতে হচ্ছে, এখানে অনেকগুলো ব্যাংক আছে সেটাও দেখতে হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ করতে পারব, এ কাজে মূল সহযোগী হবেন চীনা বিশেষজ্ঞরা।

তিনি আরও বলেন, বারবার তাদের সময় দেয়ার পরও নানা অজুহাতে এখান থেকে অফিস সরানো হয়নি। আমাদের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তারা অনেকটা কাজ সম্পন্ন করেছেন। পরে দ্বিতীয় দফা সময় দেয়া হয়। এখনও কাজ শেষ না হওয়ায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় চাইলে আমরা সম্মতি দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে তারা তাদের অফিস অপসারণে ব্যর্থ হলে বিকেল ৫টার পরই বিজিএমইএ ভবন সিলগালা করে দেয়া হবে।

এর আগে সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছিলেন আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নেমেছে রাজউক।

বিজিএমইএ ভবন অপসারণে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয়েছে গত ১২ এপ্রিল। গত বছরের ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে তৈরি পোশাক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএকে এক বছর ১০ দিন সময় দিয়েছিলেন।

এএস/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।