নুসরাত হত্যা : এক মাসের মধ্যে রায় চায় মানবাধিকার কমিশন
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৯
মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে ‘প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর’ আখ্যা দিয়ে এক মাসের মধ্যে হত্যা মামলার রায় চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, নুসরাতের ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কিন্তু গ্রামগঞ্জে এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। বিচার প্রক্রিয়া সহজতর করতে যে কাজগুলো নিষ্ঠার সঙ্গে করা দরকার সেগুলো করতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, সময়মত সাক্ষী না দেয়ার কারণে এমন ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।
রিয়াজুল হক বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার একটা পরিকল্পনা করেছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। তাহলে তারা কীভাবে কেন্দ্রে ঢুকলো। শুধু মাদরাসা শিক্ষার্থী নয়, পুরুষরাও সেখানে ছিল এবং হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তারা চলে যায়। এ অসৎ শিক্ষকের জন্য যারা আন্দোলন করলো তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি বলেন, নুসরাত প্রতিবাদী মেয়ে, প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। তাকে যেভাবে কেরোসিন ঢেলে হত্যা করা হয়েছে তা মানবতার ইতিহাসের জঘন্য অপরাধ। এ অপরাধে যারা জড়িত তারা ক্ষমার অযোগ্য। তাদের যদি আইনের মাধ্যমে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করতে না পারি, তাহলে সমাজে এ জাতীয় হত্যা বন্ধ হবে না। আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে পড়ে যাবো।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নুসরাতের আত্মার শান্তির জন্য তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে হবে। অপরাধীদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়। নুসরাতের মতো সব নারী, শিশু হত্যা, নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিনি বলেন, নুসরাত হত্যার বিষয়ে যেসব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তাতে মনে করতে চাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। আইনে বলা আছে, হাতেনাতে ধরা পড়লে ১৫ দিনের মধ্যেই পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে।
'আমরা দেখেছি শিশু রাজন, রাকিব হত্যার ক্ষেত্রে পুলিশ দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল এবং আদালত দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছিলেন। আমরা নুসরাতের ক্ষেত্রে সেটা দেখতে চাই।’
সিরাজ উদ দৌলাকে মাদরাসার অধ্যক্ষ করার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এর আগেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এমন জঘন্য চরিত্রের লোককে কীভাবে অধ্যক্ষ হিসেবে চাকরি দেয়া হলো তা বোধগম্য নয়।
এমএএস/আরএস/এএইচ/পিআর