নুসরাতের ভাইকে ব্যাংকে চাকরি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৪ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভাই নোমানকে ব্যাংকে চাকরি দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নুসরাতের বাবা একেএম মুসা ও মা শিরিন আক্তারসহ দুই ভাই শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের নিয়োগপত্র নুসরাতের ভাই নোমানের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নুসরাতের মা। প্রধানমন্ত্রী নুসরাতের পরিবারের প্রতি সান্ত্বনা ও গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীরা কেউই আইনের হাত থেকে কোনোভাবেই রেহাই পাবে না। একই সঙ্গে নুসরাতের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসময় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

PM-Nusrat-1

প্রধানমন্ত্রী নিজাম চৌধুরীকে নুসরাতের ছোট ভাই রায়হানের পড়াশোনার প্রতি খেয়াল রাখতে বলেন। নিজাম চৌধুরী স্বাচ্ছন্দ্যে শুধু পড়াশোনা নয়, ভবিষ্যতে রায়হানের চাকরিরও নিশ্চয়তা দেন। এ বিষয়ে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন।

প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল।

গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন দেওয়া হয়। গুরুতর দগ্ধ নুসরাত পাঁচদিন পর্যন্ত বাঁচার জন্য লড়াই করে হার মানেন।

১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি মারা যান।

এসআই/জেএইচ/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।