খিলগাঁওয়ে ভোজনরসিকদের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৫ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

রাজধানীর যে কয়টি অঞ্চলে রকমারি খাবারের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তার মধ্যে অন্যতম একটি অঞ্চল খিলগাঁও। আবুল হোটেলের সামনের মোড় থেকে তালতলা মার্কেট পর্যন্ত শতাধিক খাবারের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানও বেশ জমজমাট ব্যবসা করছে অঞ্চলটিতে। এসব প্রতিষ্ঠানে বার্গার, পিজ্জা, শর্মা, স্যান্ডউইচ, তান্দুরি চিকেন, কাবাব, সুপসহ বাহারি ফাস্ট ফুডের পাশাপাশি বিক্রি হয় বিভিন্ন চাইনিজ ও থাই খাবার।

রকমারি খাবারের এমন সমাহারের কারণে ভোজনরসিক তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পরপরই মুখর হয়ে ওঠে অঞ্চলটি। বিশেষ করে প্রেমিক যুগলের কাছে অঞ্চলটি বেশ প্রিয়।

সচরাচর প্রতিদিন অঞ্চলটির খাবার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভোজনরসিকরা ভিড় করলেও রোববারের (১৪ এপ্রিল) পরিবেশ ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম। পহেলা বৈশাখ, নববর্ষ উপলক্ষে ঘুরতে বের হওয়া রাজধানীবাসীর একটি বড় অংশ খাবারের জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন খিলগাঁওয়ে। এতে খাবার প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি অঞ্চলটির রাস্তায়ও ভোজনরসিকদের ঢল নামে।

অনেক প্রতিষ্ঠানে খাবার সংগ্রহের জন্য ভোজনরসিকদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এমনকি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে খাবার সংগ্রহ করতে ভোজনরসিকদের ভিড় ফুটপাত পর্যন্তও চলে যায়। তবে এরপরও কারো মধ্যে বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়নি।

Dhaka

প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে খিলগাঁও খেতে আসেন মগবাজারের মোহাম্মদ ইব্রাহিম। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ফাস্টফুড, চাইনিজ, থাই খাবারের জন্য রাজধানীর যে কয়টি অঞ্চল বিখ্যাত তার মধ্যে বর্তমানে খিলগাঁও জায়গা করে নিয়েছে। এ অঞ্চলে যেমন খাবারের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, তেমনি প্রতিষ্ঠানগুলোর খাবারের মানও বেশ ভালো।

তিনি আরও বলেন, আজ (রোববার) সকাল থেকেই আমরা দু’জন একসঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছি। প্রথমে রমনা পার্কে গিয়েছিলাম। এরপর টিএসসিতে। সেখানে থেকে খাবার জন্য খিলগাঁওয়ে এসেছি। দু’জনে একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে বাসায় ফিরব।

গুলশান থেকে বান্ধবীদের সঙ্গে দল বেঁধে খিলগাঁওয়ে খাবার খেতে আসা রাইফা বলেন, এক বছর ধরে আমরা প্রায় এখানে খেতে আসি। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন পার্টিও করি। এখানকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের খাবারের মান বেশ ভালো।

তিনি বলেন, আজ আমাদের ধারণা ছিল এখানে ভিড় হবে। কিন্তু এখানে এসে যে ভিড় দেখেছি তা কল্পনায় ছিল না। খাবার টেবিল পেতেই ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। এভাবে দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি আমরা বেশ উপভোগ করেছি। খাবার টেবিল পেতে দাঁড়িয়ে থাকার মধ্যে আলাদা আনন্দ আছে।

Dhaka

খাবার সংগ্রহ করতে একটি প্রতিষ্ঠানের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করা রিমন নামের একজন বলেন, বন্ধুরা মিলে আজ কফি খেতে এসেছি। কিন্তু দোকানের সামনে এসেই দেখি প্রচন্ড ভিড়। তাই লাইন শেষে কফি নেয়ার অপেক্ষায় আছি। আজ বছরের প্রথম দিন, যত কষ্টই হোক কফি খেয়ে যাব। বছরের প্রথম দিন না খেয়ে ফেরা ঠিক হবে না!

খাবারের জন্য খিলগাঁওয়ের যে কয়টি প্রতিষ্ঠানে ভোজনরসিকদের প্রচন্ড ভিড় দেখা যায় তার মধ্যে একটি এপোলিয়ান। প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে দেখা যায়, একদল খাবার খাচ্ছেন, আরেক দল টেবিলে বসার জন্য অপেক্ষায় আছেন।

প্রতিষ্ঠানটির এক ওয়েটার বলেন, আমাদের প্রতিদিনই ভালো বিক্রি হয়। বিশেষ করে উৎসবের দিন বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে আজকে ক্রেতাদের ভিড় অনেক বেশি। ভিড় সামাল দিতে আমাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও আমরা ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।

এমএএস/আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।