রমনা-হাতিরঝিল কেন্দ্রিক যানজট
সকালের দিকে রাজধানীর প্রায় এলাকার রাস্তা যানজট মুক্ত থাকলেও, দুপুর থেকে রমনা পার্ক ও হাতিরঝিল কেন্দ্রিক রাস্তায় যানজটের চিত্র দেখা গেছে।
যাত্রাবাড়ীর দিক থেকে রমনা পার্কে যেতে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের পর যানজটে পড়তে হচ্ছে। ফার্মগেট থেকে রমনা পার্ক যেতে যানজটে পড়তে হচ্ছে বাংলামোটর থেকে। তবে পল্টন মোড় পার হয়ে কাকরাইল পর্যন্ত কোনো যানজটে পড়তে হচ্ছে না।
আর হাতিরঝিলে যেতে মালিবাগ ফ্লাইওভার থেকে নেমেই যানজটে পড়তে হচ্ছে। আবুল হোটেল থেকে রামপুরা কাঁচা বাজার পর্যন্ত পরিবহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তবে গণপরিবহনে থেকে রাস্তায় ব্যক্তিগত পরিবহন এর আধিক্য দেখা গেছে।
দুপুরে রমনা পার্কে আসা বিথী আক্তার বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত যানজট ছাড়াই এসেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি মহাযানজট। গুলিস্তান থেকে পল্টন মোড় পার হতেই প্রায় এক ঘণ্টা লেগেছে। তবে পল্টন মোড় পার হওয়ার পর আর কোনো যানজটে পড়তে হয়নি।
এর আগে সকালে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা হয় যাত্রাবাড়ী থেকে রমনা পার্কে আসা ফৌজিয়ার সঙ্গে। তিনি সে সময় বলেন, এর আগেও সকালে রমনা পার্কে এসেছি। কিন্তু রাস্তা এরকম ফাঁকা দেখিনি। গত বছরও পল্টন থেকে গাড়ি হালকা হালকা যানজটে পড়েছিল। আর আজ গাড়ি কোনো সিগন্যালে ব্রেক করেনি। একটানে চলে এসেছে। তবে ভাড়া একটু বেশি নিয়েছে।
সরেজমিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুই দফা গুলিস্তান-পল্টন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, সকাল ১০টার আগ পর্যন্ত সেখানে কোনো যানজট ছিল না। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে অঞ্চলটিতে যানজট দেখা যায়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানজটের মাত্রা।
পল্টন মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা এক পুলিশ সদস্য বলেন, রমনা পার্কের আশপাশে যাতে যানবাহনের চাপ সৃষ্টি না হয় সে জন্য আমরা নিরলস চেষ্টা করছি। পল্টন মোড় থেকে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই এদিকের সব যানবাহন কাকরাইল হয়ে যাচ্ছে। আমরা এমনভাবে গাড়ি ছাড়ছি পল্টন মোড় পার হওয়ার পর রমনা পার্কের আগে আর কোনো যানজটে পড়তে হবে না।
এদিকে দুপুর ৩টার দিকে মালিবাগের আবুল হোটেল থেকে রামপুরা কাঁচা বাজার পর্যন্ত পরিবহনের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। অথচ সকালে এ রুটের সব রাস্তাই ছিল অনেকটা পরিবহন শূন্য। অবশ্য মালিবাগ থেকে রামপুরা যাওয়ার রাস্তাটিতে যানজট থাকলেও, রামপুরা থেকে মালিবাগের দিকে আসার রাস্তাটি দুপুরেও ফাঁকা ছিল।
আবুল হোটেলের সামনে কথা হয় তুরাগ পরিবহনের চালক সাইদুরের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকালে এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রাবাড়ী গেছি কোথাও কোনো যানজটে পড়তে হয়নি। কিন্তু এখন রাস্তার এই অবস্থা। তবে যাত্রাবাড়ী থেকে মালিবাগ পর্যন্ত আসতে কোনো যানজটে পড়তে হয়নি।
একটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানির গাড়ি চালক রুবেল বলেন, সকাল থেকে বসুন্ধরা-মালিবাগ রুটে কয়েকটি ভাড়া মেরেছি। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কোনো যানজটে পড়েনি। আড়াইটার দিকে আবুল হোটেলের এসে যানজটে পড়লাম। হাতিরঝিলের কারণেই মনে হয় এই যানজট।
হাতিরঝিল কেন্দ্রিক আবুল হোটেল থেকে রামপুরা পর্যন্ত যানজট দেখা গেলেও দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হাতিরঝিলে দর্শনার্থীদের খুব একটা ভিড় দেখা যায়নি। এ সময় অল্প সংখ্যক উৎসবপ্রিয় সেখানে ঘোরাঘুরি করছিলেন।
এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম