‘আম্মা রানব’, তাই পহেলা বৈশাখেও ভাঙাড়ি কুড়ায় সুমন
ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আগমন ঘটেছে নতুন বাংলা বছর ১৪২৬। বিগত বছরের সব গ্লানি, ব্যর্থতা, অমঙ্গল ধুয়েমুছে সুন্দর আগামীর বন্দনায় মত্ত আজ দেশের বড় অংশ। এমন দিনে আনন্দে মেতেছে শিশুরাও। নতুন জামা-কাপড় পরে বাবা-মা, বড় ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের হাত ধরে তারা ছুটছে মুক্ত বিহঙ্গের মতো। আবার এমন দিনেই ক্ষুধায় পিষ্ট কিছু শিশু ছুটছে জনাকীর্ণ বিভিন্ন জায়গায়।
তাদেরই একজন রাজধানীর কমলাপুর এলাকার সুমন। সে ওই এলকায় একটি মজার স্কুলে পড়ে। স্কুলে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো দুপুর ও বিকেল দুই বেলা সেখানে খাবার দেয়া হয়। কিন্তু পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে স্কুল দুই দিনের ছুটি দিয়েছে। ফলে সেখানে খাবার জুটবে না আজ। তাই খাবারের অনিশ্চয়তা থেকে নতুন পোশাক পরে ঘুরে-বেড়ানোর পরিবর্তে সে বেরিয়ে পড়েছে ভাঙাড়ি কুড়াতে।
রাজধানীর রমনা পার্কে সুমনের সঙ্গে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের। জানায় বাবার নাম রবিউল, আর মা সেলিনা। বাবার এক পা নেই, অটোরিকশা চালায়। আর মা কী করে জানতে চাইলে সুমন বলে, ‘ময়লার কাম করে।’
পয়লা বৈশাখে প্রচুর মানুষের সমাগম হওয়ায় অনেক পানির খালি বোতল জুটেছে তার ভাগ্যে। এগুলো সে ২০ টাকা কেজি দরে রাজধানীর মদিনাবাগে বিক্রি করবে। সেই টাকা দিয়ে কী করবে জানতে চাইলে সুমন বলে, ‘আম্মার কাছে দিমু। আম্মা চাইল-মুইল আইন্না রানবো।’
সুমনের মতো রাজধানীর শাহবাগ, রমনা এলাকায় অনেককেই আজ ভাঙাড়ি কুড়াতে দেখা যায়।
পিডি/এমএমজেড/এমকেএইচ