দুগ্ধ উৎপাদনে আসল কৃষকদের ঋণ দেয়ার আহ্বান


প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে পুণঃঅর্থায়ন স্কিমের টাকা যেন আসল কৃষক পান সেই লক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সম্মতিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন।

কৃষকদের মধ্যে নারীরা যেন অগ্রধিকার পান তাও দেখার অনুরোধ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের উদ্দেশ্যে আতিউর রহমান বলেন, আপনারা টাকাটা যখন দেবেন তখন খেয়াল রাখবেন যেন সত্যিই যারা কৃষক বিশেষ করে নারী কৃষক তারা যেন পায়। আপনারা চেষ্টা করবেন তাদের সঙ্গে দুগ্ধ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা যোগাযোগ তৈরি করে দেয়ার। কারণ তারা যদি দুধের ন্যায্য মূল্য না পায় তাহলে এ প্রকল্পে কোনো ফল আসবে না।

৫ শতাংশ সুদে সরাসরি কৃষকরা গাভী কেনায় ঋণ পাবে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলো সবসময় রিফাইন্যান্স স্কিমের টাকা ৯-১০ শতাংশ সুদের কমে দিতে পারে না। এটা বিশেষ ব্যবস্থায় ৫ শতাংশ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই; আমাদের যে দুগ্ধ উৎপাদন ব্যবস্থা রয়েছে তাতে মাত্র ২০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়। বাকি ৮০ শতাংশ আমদানি করে মেটাতে হয়। এই আমদানি যাতে না করতে হয় তার জন্যই এই স্কিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এটিকে সৃজনশীল একটি প্রকল্প বলে জানান গভর্নর। তিনি বলেন, ২০০ কোটি দিয়ে এটি শুরু হলেও ভালোভাবে এটির ইমপ্লিমেন্টেশন ঘটাতে পারলে টাকার পরিমান আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সের একটি অংশ। অর্থাৎ সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল খাতেই এটা ব্যবহার হচ্ছে।

ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক। ২০০ কোটি টাকার এ পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় চুক্তিতে ১৩টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাক্ষর করে। এসময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।