বাংলা নববর্ষ সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক : রাষ্ট্রপতি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৫ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, অতীতের গ্লানি, দুঃখ মুছে, অসুন্দর ও অশুভ পেছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ জাতীয় জীবনে আরও সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। রোববার সারাদেশে জাতি উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে।

উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে দেশবাসীসহ বাঙালিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, শুভ বঙ্গাব্দ ১৪২৬।

তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ উৎসব সর্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক। এর মধ্যে নিহিত রয়েছে বাঙালির আত্মপরিচয় এবং জাতিসত্তা বিকাশের শেকড়। স্বাধীনতা পূর্বকালে বাঙালির জাতীয় সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধের ওপর বারবার আঘাত এসেছে। নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভিন্নধারায় প্রবাহিত করতে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ভিনদেশী ভাষা ও সংস্কৃতি। কিন্তু বাঙালি জাতি তা কখনো মেনে নেয়নি।

আবদুল হামিদ বলেন, প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতি ও জাতিসত্তা বিকাশের প্রবল শক্তি নিয়ে উপস্থিত হয়। জানান দেয় আমি সর্বজনীন। এখানে ধর্ম-বর্ণ-দল-মতের কোনো বিভেদ নেই। তাইতো এই উৎসবটি বাঙালির জীবনাচার, চিন্তা-চেতনা, বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে একাকার হয়ে মিশে আছে আবহমানকাল থেকে। বাংলা নববর্ষ তাই কেবল আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর কোনো উৎসব নয়; বরং তা বাঙালির ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, শেকড় সন্ধানের অবিনাশী চেতনাবাহী দিন।

এইচএস/জেএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।