নুসরাত হত্যা : পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ এএম, ১২ এপ্রিল ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানি ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ২ নম্বর আসামি কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অতিরিক্ত এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাবেদ হোসেন নামে এই মামলার আরেক আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গুঞ্জন থাকলেও সে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টার দিকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেফতার হন মুকছুদ আলম। অন্যদিকে জাবেদ হোসেনকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার হন বলে খবর রয়েছে।

এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে আছেন পাঁচজন। তারা হলেন- সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, একই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, উম্মে সুলতানা পপি ও যোবায়ের হোসেন।

আরও পড়ুন >> নুসরাতের জানাজায় মানুষের ঢল

উল্লেখ্য, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে এর আগেও ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।

এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন >> নুসরাতের মামলা প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনালে যাবে : আইনমন্ত্রী

এ ঘটনার পর ৮ এপ্রিল নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সোনাগাজী থানায় আরেকটি মামলা (নম্বর ১০) করেন। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাত জাহান রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলম, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার অন্যতম সহযোগী নূরউদ্দিন, ওই মাদরাসার ছাত্র সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হাসান ও আব্দুল কাদের।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান নুসরাত। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

জেইউ/বিএ/এনএফ/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।