নুসরাতের মামলা প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনালে যাবে : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯
ফাইল ছবি

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা মামলা প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত এ বছর আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে গত মার্চে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করে নুসরাতের পরিবার। সেই মামলা তুলে না নেয়ায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় বলে মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ। ঢাকা মেডিকেলে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে মারা যায় নুসরাত।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে একটি অভিযোগপত্র দিতে হবে। আমি আপনাদের বলছি এরকম মামলা যখনই হবে এটাকে ফাস্ট ট্র্যাক করবে। আমি প্রসিকিউশসনকে নির্দেশ দেব, যাতে এটাকে ফার্স্ট ট্র্যাক করা হয়। কোনো প্রশ্নেরও প্রয়োজন হবে না।’

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দ্রুত বিচারে যদি প্রয়োজন হয় যাবে।’

এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সচিবালয় নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাফির মৃত্যুতে আমরা সবাই দুঃখ প্রকাশ করছি। আসলে আমরা সবাই ব্যথিত। এ ধরনের মৃত্যু সবাইকে ব্যথিত করে।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি কী ঘটেছে তা জানতে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্ত ভার নিয়েছে। এটার বিচার কাজ যাতে খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয় সেই ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। পিবিআইও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটার চার্জশিট দেবে। আমরা এটাকে খুব সিরিয়াসলি নিয়েছি। ঘটনায় জড়িত কোনো আসামিই বাদ যাবে না। সবাইকে বিচারের মুখোমুখী করা হবে।’

অধ্যক্ষ গ্রেফতারের পর তার মুক্তি চেয়ে অনেকে মানববন্ধন করেছে- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করছেন হয়তো তারা না জেনেই করছেন। তারা যদি জানতেন এই অধ্যক্ষ কিংবা যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তাদের জন্য তারা দাঁড়িয়েছেন তবে হয়তো এ কাণ্ডটি করতেন না। তাদের হয়তো ভুল ধারণা আছে যে অধ্যক্ষ নির্দোষ। তদন্তে প্রমাণিত হবে সে দোষী নাকি নির্দোষ। কিংবা সে কতখানি দোষ করেছে। অবশ্যই অপরাধীর শাস্তি হবে।’

সোনাগাজী থানার ওসির ভূমিকা সঠিক থাকলে হয়তো আগুনো পোড়ানোর ঘটনা ঘটত না। ওসির শাস্তি বদলিই কী যথেষ্ট- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় বলি যেই অপরাধ করুক, যে ওসি হোক বা যেই হোক, তাকে বিচারের মুখোমুখী হতে হবে।’

আরএমএম/এমবিআর/এএইচ/জেআইএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।