বেড়া পৌর মেয়রসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা


প্রকাশিত: ১০:৪৭ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনার বেড়া পৌরসভার মেয়র ও বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল বাতেনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার রাত ৮টার দিকে দুদক পাবনা অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদি হয়ে বেড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, বেড়া পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন, বেড়া পৌরসভার প্রকৌশলী খন্দকার ফিরোজুল আলম, সাবেক সচিব বর্তমান পঞ্চগড় পৌরসভার সচিব মো. রাশিদুর রহমান, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হবি, আবু দাউদ শেখ, জয়নাল আবেদিন, শামসুল হক খান, এনামুল হক শামিম, আব্দুর রাজ্জাক সরদার, ইসলাম উদ্দিন, আব্দুস সামাদ মহলদার, শহিদ আলী, নার্গিস আক্তার, জাকিয়া খাতুন এবং হাটের ইজারাদার মাহবুব হোসেন বাবলু।

এ নিয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলার সংখ্যা দাঁড়ালো তিন। এর আগে গত ২৭ আগস্ট বেড়া থানায় সাড়ে ৭৬ লাখ টাকা এবং ২ লাখ ৩ হাজার সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেড়া পৌর মেয়র আব্দুল বাতেনসহ ১৪ জনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেন দুদক।

মামলার এজহারের বরাত দিয়ে দুদক পাবনা অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বেড়ার পৌর মেয়র আব্দুল বাতেনসহ বেড়া সিঅ্যান্ডবি করমজা নতুনহাটের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩১৭ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে তিনিসহ অন্যরা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।

এছাড়া বেড়া পৌর মেয়র আব্দুল বাতেনসহ উল্লেখিতরা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি হাটকে বেসরকারি মালিকানাধীন দেখিয়ে ১ বছরের স্থলে এক নাগারে ১৩ বছর অবৈধভাবে ভোগ দখল করে সরকারের বিপুল রাজস্বের ক্ষতি করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন। দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সোমবার রাতে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

বেড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মশিউর রহমান মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে জানান, মামলার বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারাই তদন্তসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

এ ব্যাপারে বেড়া পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল বাতেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার পারিবারিক সূত্র জানান, তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন।

তবে মামলার আরেক অভিযুক্ত করমজা হাটের ইজারাদার মাহবুব হোসেন জাগো নিউজকে জানান, পৌর মেয়রের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সরকারে কোষাগারে যে টাকা জমা দেয়ার কথা ছিল তা যথা সময়ে পৌর মেয়রের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। তাই এই মামলায় তাদের জড়ানো ঠিক হয়নি।

একে জামান/এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।