পল্লবীর ব্যবসায়ী জাহিদুল হত্যাকাণ্ডেও জড়িত ছিল শাহাদাত বাহিনী


প্রকাশিত: ০৯:২৩ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রকাশ, বিকাশ, কালা জাহাঙ্গীর ও শাহাদাৎ বাহিনীসহ গাংচীল বাহিনীর ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের কারণে রাজধানীর মিরপুর ও এর আশপাশ এলাকা ছিল সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য। চরম ভীতি ও উৎকণ্ঠায় থাকতো মানুষ। সে কালো অধ্যায়ের অবসান ঘটতে চলেছে।

মঙ্গলবার র‌্যাব-৪ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন, র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক(সিও)অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবির।

এর আগে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় র‌্যাবের অভিযানে সন্ত্রাসী ‘শাহাদাৎ বাহিনীর’ সংঘবদ্ধ গ্রুপের ৬ সদস্য আটক করে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলেন- মো. সেন্টু মিয়া প্রকাশ ওরফে সেন্টু (২৪), মো. মিলন ওরফে সুমন (২৪), মো. ইয়ামিন সরকার ওরফে মন্টি (২৭), মো. বাবু আহম্মেদ ওরফে বাবু (৩৬), মো. মাসুদ রানা ওরফে রানা (২৭) ও মো. এসএম সোলায়মান কাদের ওরফে পাভেল (২৩)।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ পল্লবী থানাধীন ১১ নং সেকশনের কাঁচা বাজারে অবস্থিত ‘মেসার্স লক্ষীপুর বাণিজ্যালয়’ এর স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম ও সহোদর ইসমাইল হোসেনের নিকট মোবাইল ফোনে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল শাহাদাৎ বাহিনী।

গত ২২ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সশস্ত্র অবস্থায় ‘মেসার্স লক্ষীপুর বাণিজ্যালয়ে’ এসে উপস্থিত হয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে রফিকুল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেনকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করে।

এ অবস্থায় তারা সন্ত্রাসীদেরকে ৫০ হাজার টাকা দেয়। সন্ত্রাসীরা এক সপ্তাহের মধ্যে দাবিকৃত ১০ লক্ষ টাকার বাকি অংশ পরিশোধ করার জন্য সময় দিয়ে যায়।

র‌্যাব জানায়, বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা জানায়- পল্লবীর ওষুধ ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম রাসেলকে হত্যা করেছে তারা। চাঁদা না দিলে রফিকুল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেনদেরও অনুরূপ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

বিষয়টি ভুক্তভোগীরা র‌্যাব-৪ কে জানালে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে র‌্যাব।

এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার (৩১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে ‘মেসার্স লক্ষীপুর বাণিজ্যালয়ে’ দাকিকৃত চাঁদা নিতে এসে র‌্যাব-৪ এর দলের হাতে আটক হয়। তবে আগ্নেয়াস্ত্রসহ সন্ত্রাসী মামুন পালিয়ে যায়।

র‌্যাব-৪ অধিনায়ক বলেন, পল্লবীর ওষুধ ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম রাসেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো শাহাদাত বাহিনী। ১১ জুনের ওই ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি মামলা রুজু হয় (মামলা নং ৪২)। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে আটক মো. মিলন ওরফে সুমন, মো. ইয়ামিন সরকার, মো. বাবু আহম্মেদ, মো. এসএম সোলায়মান কাদের।। তারা ওই ঘটনার মামলার আসামিও। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

জেইউ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।