টানা বর্ষণে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
তিন দিনের টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নগরীর কোন কোন এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর পানি জমেছে। নগরীর বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, হালিশহর, আগ্রাবাদ, মোগলটুলি, পাঁচলাইশ, মুরাদপুর, ষোলশহর, চকবাজার, কাপাসগোলা, চাক্তাই, বাকলিয়া এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর সড়কে যানবাহন চলাচল করছে খুব কম। রিকশা ও অটোরিকশায় আদায় করা হচ্ছে দু-তিন গুণ বেশি ভাড়া।
আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ জানান, মঙ্গলবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ১৪৮.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। বুধবার পর্যন্ত এ প্রভাব থাকতে পারে।
পানি ঢুকে পড়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিসেও। বাসা-বাড়িতেও কোমর সমান পানি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় বন্ধ রয়েছে বেচাকেনা। সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় লোকজন ভ্যান গাড়ি ও হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে।
মিয়াখান নগর তক্তারপুল এলাকার বাসিন্দা কুলছুম বেগম বলেন, বাসায় কোমর সমান পানি। বের হওয়ার সুযোগ নেই। জোয়ার শুরু হওয়ার পর থেকে পানি আরও বেড়েছে।
বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা জাহেদুল ইসলাম জানান, বাসায় পানি না উঠলেও সড়কে হাঁটু সমান পানি উঠেছে। বাজারে যাওয়ার জন্য রিকশা খুঁজছি তাও পাচ্ছি না।
এদিকে জেলার ফটিকছড়ি, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, রাউজান, আনোয়ারা, বাঁশখালী, হাটহাজারী ও মিরসরাই উপজেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে উপজেলাগুলোর বিস্তীর্ণ বীজতলা। পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে অনেক মৎস্যখামার। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের মাহালিয়া ও বাজালিয়া বড়দুয়ারা এলাকা তলিয়ে গেছে।
এআরএস/এমএস