হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে দালাল মুক্ত করতে হবে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:৩৭ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০১৯

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, প্রতারণা ও ভোগান্তি থেকে সম্পূর্ণ নিষ্কৃতি পেতে হলে হজযাত্রীদের সরাসরি অনুমোদিত হজ এজেন্সির সঙ্গে লেনদেন করতে হবে। কোনো ধরনের মধ্যস্বত্বভোগী অথবা দালালের কাছে যাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, পোশাকধারী কিছু ব্যক্তি সাধারণ হজযাত্রীদের কমখরচে হজের ব্যবস্থা করে দেবে বলে হজযাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে এবং দিন শেষে প্রতারণা করে। অনেক হজযাত্রী এ ধরনের দালালদের খপ্পড়ে পড়ে এবং বিড়ম্বনার শিকার হয়। এ ধরনের প্রতারকদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে হজযাত্রী, হজ এজেন্সি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০১৯ সালের হজযাত্রী ও হজগাইডদের হজব্যবস্থাপনাবিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য গঠিত ট্রেনিং ফর ট্রেইনার্স (টিওটি) টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজব্যবস্থাপনাকে অতীতের চেয়ে উন্নততর করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলপক্ষের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে সৌদি আরব সফর করে হজযাত্রীদের সুবিধার্থে সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা, মিনা-আরাফাতে যাতায়াতে উন্নতমানের পরিবহন ও খাবার ব্যবস্থা করা, এজেন্সিদের ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে এজেন্সিপ্রতি হজযাত্রীর সংখ্যা ১৫০ থেকে কমিয়ে ১০০-তে আনাসহ নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, বিশেষ করে জেদ্দা বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার অপেক্ষার বিড়ম্বনা কমানোর লক্ষ্যে সৌদি সরকারের উচ্চপদস্থ একটি প্রতিনিধি দল আগামী ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, হজযাত্রীদের সুন্দর ও সহজভাবে হজ পালনের জন্য হজবিষয়ক প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হজযাত্রীদের নিজ বাড়ি থেকে যাত্রা করে ইমিগ্রেশন, বিমানে আরোহণ, মক্কা ও মদিনা শরিফে যাতায়াত ও অবস্থান, মিনা-আরাফা ও মুজদালিফায় যাতায়াত ও হজের আরকান-আহকাম এবং সবশেষে নিরাপদে দেশে ফেরত আসা পর্যন্ত যাবতীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারলে হজপালন সহজ হবে।

প্রতিমন্ত্রী প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের মাধ্যমে নিজ নিজ জেলার হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করাবেন। সুতরাং আপনাদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আল্লাহর মেহমান হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকলের সহযোগিতায় এবারের হজকে অতীতের যেকোনো বছরের চেয়ে উন্নতমানের হজব্যবস্থাপনায় উন্নীত করার লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব ইনশাআল্লাহ।

ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদত হোসেন তসলিম প্রমুখ।

সভায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিনিধি, হাবের প্রতিনিধ, ধর্মীয় বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন আলেমসহ জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী টিওটি টিমের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।